নিজের শরীরকে সুস্থ করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ডায়েট। জিভে রাশ না টানলে কোনও কাজ সম্ভব নয়। এই প্রতিবেদনে রইল হেলদি অথচ সুস্বাদু কয়েকটি জলখাবারের রেসিপি।

পোহা – রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখাতে বিশেষ কার্যকরী এই এক পদ। পোহা যদি সঠিকভাবে বানানো যায়, তাহলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স নেমে আসে একেবারে তলানিতে। সঙ্গে থাকে উচ্চ মাত্রার ফাইবার। এতে মটরশুঁটি, গাজর, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি সবজি মেশানো যায়। শেষে লেবুর রস চিপে দিলে মেটে ভিটামিন সি-এর চাহিদা। চিনাবাদাম ছড়িয়ে দিলে বাড়বে প্রোটিন ও হেলদি ফ্যাটের মাত্রা।
বেসনের চিলা – সহজ, প্রোটিনে ভরপুর খাবার হল বেসনের চিলা। ছোলার ডালের তৈরি এই পাতলা চিলা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য সত্যিই আদর্শ। এতে প্রোটিন বেশি, ফাইবার সমৃদ্ধ। থাকে না কোনও রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট। ফলে ব্লাড সুগার হঠাৎ বাড়ে না।
ইডলি-সম্বর – দক্ষিণ ভারতের এই পদ বেশ প্রসিদ্ধ বাংলাতেও। ফারমেন্টেড খাবার যেমন ইডলি-ধোসা হজমশক্তি ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যা পরোক্ষভাবে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইডলির সঙ্গে সম্বর বা রসম খেলে ডালের প্রোটিন তৃপ্তি বাড়ায় এবং গ্লুকোজ শোষণ কমায়।
মুগ ডালের চিলা পনিরের ফিলিংসহ – কম কার্ব, বেশি প্রোটিন—এই খাবারটি একদম পারফেক্ট। মুগ ডাল ও পনিরের মিশ্রণে তৈরি এই চিলা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না এবং বেশিক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
ডালিয়া বাদাম এবং বীজসহ – গোটা শস্য ডালিয়া বা ভাঙা গমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই এটি ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ করে। এতে আমন্ড, চিয়া বীজ ও দুধ বা দই মিশিয়ে খাও। চিনি দেয়া চলবে না।

