জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সানায়ে তাকাইচি, যা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থী হিসেবে তিনি ২৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ডেমোক্রেটিক পার্টি অব জাপানের প্রার্থী ইউশিহিকো নোদা, পেয়েছেন ১৪৯ ভোট। প্রথম ধাপেই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় রান-অফ নির্বাচন ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তাকাইচি, যা তাকে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড গড়তে সহায়তা করে।
এর আগে, সোমবার জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও প্রধান বিরোধী দল জাপান ইনোভেশন পার্টি (জেআইপি) একত্রে জোট সরকার গঠনে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির পর সানায়ে তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। যদিও প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা ছিল—দুই দলের মোট ভোটের পরও তাকাইচির প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে আরও অন্তত দুইটি ভোটের দরকার হতে পারে।
তবে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রথম দফাতেই নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি মন্ত্রিসভা গঠনে সময় নিচ্ছেন। তবে এরইমধ্যে জোটের শরিক জেআইপি মন্ত্রিসভায় না থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, যা নতুন সরকারের কাঠামো গঠনে কিছুটা জটিলতা তৈরি করতে পারে।
এ মাসের শুরুতে তাকাইচি ক্ষমতাসীন দল এলডিপির নেতা নির্বাচিত হন। তবে তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে দীর্ঘদিনের সহযোগী দল কোমেইতো সরকার থেকে সরে দাঁড়ালে রাজনৈতিক অচলাবস্থায় পড়ে জাপান। শুরু হয় নতুন জোট সরকার গঠনের আলোচনা।