
জিওগ্রাফিককে তার সুদীর্ঘ জীবন-যাপনের রহস্য এবং সেই সম্পর্কিত পরামর্শ দিয়েছেন। দীর্ঘায়ু এবং সুস্থভাবে জীবন যাপনের পরামর্শ অনেক ভাবেই পাওয়া যায়, কিন্তু কে যথাযথভাবে এসব জানাতে পারেন, যদি না সেই ব্যক্তি নিজেই তা সফলভাবে অর্জন না করেন? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে উঁকি দেয়।
হাওয়ার্ড ট্যাকার তার দীর্ঘায়ুর রহস্য সম্পর্কে বলেন, ‘জ্ঞান অর্জন ও মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের প্রতি অবিচল মনোভাব থাকতে হবে।’ গত বছরই তিনি বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ চিকিৎসক হয়ে ওঠেন এবং টিকটকে তার এক লাখ দুই হাজার ফলোয়ার রয়েছে।
ট্যাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন যার মধ্যে অন্যতম হলো ৮০ বছর বয়সের পর বড় ধরনের ভুল ধারণাটি ভেঙে দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অনেকে ভাবেন যে, ৮০ বছর বয়সের পর সবাই মানসিকভাবে দুর্বল এবং অ্যালঝাইমার অথবা ডিমেনশিয়ায় ভুগতে শুরু করেন। কিন্তু এটি সত্যি নয়। অনেক শতবর্ষী মানুষ রয়েছেন যারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ।’
চিকিৎসকের সামনে বয়সের নেতিবাচক প্রভাব কখন অনুভব করতে শুরু করেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যখন আমি কারো সঙ্গে কোন চিকিৎসকের কাছে যাই, তারা সাধারণত অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আমাকে উপেক্ষা করেন, কারণ তারা মনে করেন যে আমি হয়তো ভালোভাবে কিছুই বুঝতে পারি না।’
অ্যালঝাইমারের ইতিহাস যাদের পরিবারে রয়েছে, তাদের জন্য কী পরামর্শ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সক্রিয় থাকুন, এড়িয়ে চলুন যারা আপনাকে চ্যালেঞ্জ করবে, পড়াশোনা চালিয়ে যান, জীবন নিয়ে উজ্জীবিত দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন। যদিও আমি কিছু প্রতিভাবান মানুষকে জানি, যারা মেধাবী ছিলেন কিন্তু তার পরেও অ্যালঝাইমারে আক্রান্ত হয়েছিল।’
কগনিটিভ লংজেভিটি নিয়ে আপনার মত কী, কোনো সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ সত্যিই এটি প্রতিরোধে কার্যকর? এমন প্রশ্নে ট্যাকার বলেন, ‘কিছু মানুষ বলে হ্যাঁ, আর কিছু মানুষ বলছে না। আমি বলব যে, এখনকার চিকিৎসকরা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দেন, যা আগে তারা করতেন না।’
তারুণ্য ধরে রাখতে কি করা উচিত এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হাঁটা যথেষ্ট, মানসিকভাবে ভালো থাকতে পড়াশোনা করা এবং ধাঁধা সমাধান করা এবং তরুণ বয়সীদের সঙ্গে সময় কাটানো খুবই উপকারী।’
বাইরের পরিবেশ, দূষণের প্রভাব কিভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ুকে প্রভাবিত করে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জানি না, তবে দূষণ অবশ্যই দীর্ঘায়ুর জন্য ক্ষতিকর। যারা দূষিত পরিবেশে অবস্থান করেন তাদের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় এবং আয়ুষ্কাল কমে যায়।’