
মস্তিষ্ক টিউমার আক্রান্ত হলে প্রথমে সেটি থাকে বেশ ছোট আকারে। তবে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলে প্রভাব ফেলতে শুরু করে আশেপাশে মস্তিষ্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে। যা থেকে শুরু হয় মাথাব্যাথা, বমি ভাবের মতো ছোটখাটো ব্যধি। মাথাব্যাথা, বমি ভাবের মতো সাধারণ কিছু রোগের ধরনই জানান দেবে কেউ ব্রেইন টিউমার আক্রান্ত কিনা।
মাথাব্যথা: ব্রেইন টিউমার আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত ঘনঘন ও তীব্র মাথাব্যাথা অনুভব করেন। বেশিরভাগ সময় ব্যথার ওষুধ খেলেও সারানো যায় না। মাথাব্যথার সঙ্গে যদি হাঁচি, কফ, অনিয়মিত ঘুমের সমস্যা শুরু হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বমি বমি ভাব: টিউমার মস্তিষ্কের ভেতর করোটিতে চাপ সৃষ্টি করে। ফলে গ্যাসট্রিক, অম্বলের মতো সমস্যা না থাকলেও নিয়মিত বমি ভাব দেখা দেয়। বেশির ভাগ সময় মাথাব্যথার সঙ্গে এমন বমি ভাবের উদ্রেক হয়। বমি ভাব যদি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে শরীরে আদ্রতা, ইলোকট্রোলাইট পদার্থের অভাব দেখা দেয় তাহলে এটিকে সাধারণ সমস্যা মনে করবেন না।
মুড সুইং: সাধারণত আপনার কতক্ষণ পরপর মুড সুইং হয়? হঠাৎ যদি অন্য সময়ের তুলনায় ঘন ঘন মুড সুইং হয়, বিরক্তি, রাগ কিংবা আশাহত অনুভব করেন তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অনেকের ক্ষেত্রে ব্রেইন টিউমারের প্রধান লক্ষণই থাকে মানসিক অবস্থার আচমকা পরিবর্তন।
জ্ঞানীয় ব্যধি: মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ হ্রাস কিংবা চিন্তা করার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হলে সেটিকে বলা হয় কগনিটিভ ডিজঅর্ডার কিংবা জ্ঞানীয় সমস্যা। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাজনিত যেকোনো একটি সমস্যায় ভুগলেও সেটি হতে পারে ব্রেইন টিউমারের অন্যতম লক্ষণ। কারণ, টিউমার মস্তিষ্কের কাজ করার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে।
কথা বলায় জড়তা: যোগাযোগ কিংবা ভাষাগত দক্ষতা কমিয়ে দেয় মস্তিষ্কে থাকা টিউমার। তাই যদি শব্দ জড়িয়ে যাওয়া, কারো কথা বুঝতে সমস্যা হওয়া কিংবা কথা বলার সময় প্রায়ই শব্দ হারিয়ে ফেলেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হন।
খিঁচুনি: এ রোগের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হল খিঁচুনি। কাঁপুনি দিয়ে ওঠা, অস্বাভাবিকভাবে শরীরের কোনো অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠা কিংবা শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে বুঝবেন আপনার মস্তিষ্কে বাসা বেঁধেছে টিউমার।