চলতি পথে হঠাৎ করেই কারো জন্য মন উচাটন করতে শুরু করে। ভালো লাগার জন্ম হয়। সময়ের সঙ্গে তা পরিণত হয় ভালোবাসায়। প্রেমের বিষয়টি কিন্তু কেবল আবেগের নয়। এর সঙ্গে বিজ্ঞানের যোগসূত্র রয়েছে।

ভালোবাসা, প্রেম, পরিণয়—এগুলো সবই জীবনের অংশ। তাই প্রেম নিয়ে মনোবিজ্ঞানের এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা অবাক করবে আপনাকে। কী সেগুলো? চলুন জেনে নেয়া যাক-
প্রেমে পড়তে মাত্র ৪ সেকেন্ড লাগে:
কেউ চটজলদি প্রেমে পড়ে যান। কেউবা সময় নিয়ে বুঝে শুনে তারপর এ পথে পা বাড়ান। তবে মনোবিজ্ঞান বলছে প্রেমে পড়তে সময় লাগে মাত্র ৪ সেকেন্ড। ইংরেজিতে বিষয়টিকে বলা হয়- ‘love at first sight’। অর্থাৎ একজন ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ের প্রথম ৪ সেকেন্ডের মধ্যে মস্তিষ্ক সিদ্ধান্ত নেয় আপনি তাকে পছন্দ করবেন কিনা।
প্রেমে পড়লে মস্তিষ্ক ড্রাগের মতো প্রতিক্রিয়া দেয়:
প্রেমের সঙ্গে মাদকতা বা নেশার কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে। ভালোবাসা মস্তিষ্কে ডোপামিন, অক্সিটোসিন ও সেরোটোনিন নিঃসরণ করে। যা কোকেইনের মতোই উত্তেজনা ও আনন্দ দেয়।
হৃদস্পন্দনের হার একই হয়:
কথায় বলে, প্রেমে পড়লে দুটো মন এক হয়ে যায়। বিজ্ঞানও তাই বলছে। প্রেমে থাকা দুইজন মানুষের হৃদস্পন্দনের গতি অনেক সময় একই রকম হয়ে যায়। ইংরেজিতে বিষয়টিকে ‘emotional synchrony’ বলা হয়।
চোখে চোখ রাখলেই প্রেম বাড়ে:
গানের ভাষায়- ‘চোখ যে মনের কথা বলে’। বাস্তবেও কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে চোখের ভূমিকা রয়েছে। এই বিষয়টি ‘gaze effect’ বলে। দুজন দুজনের দিকে ২ মিনিট তাকিয়ে থাকলে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও ভালোবাসা বাড়ে।
সত্যিকারের প্রেমে ভয় ও নিরাপত্তা একসঙ্গে কাজ করে:
প্রেমে পড়লে সবসময় মনের মধ্যে অজানা শঙ্কা ভর করে থাকে। আবার ভালোবাসার মানুষের পাশে থাকলে নিজেকে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ মনে হয়। আসলে প্রেম আপনাকে উত্তেজিত করে, আবার একই সঙ্গে নিরাপদও অনুভব করায়। এজন্য প্রেমে মানে দ্বৈত অনুভূতির ভারসাম্য।
প্রেমে থাকা মানুষ বেশি ক্রিয়েটিভ হয়:
প্রেমের সময় মস্তিষ্কের এমন কিছু অংশ সক্রিয় হয়, যা সৃষ্টিশীলতা ও কল্পনাশক্তি বাড়িয়ে দেয়। তাই বলা যায়, প্রেমে পড়লে মানুষ সৃজনশীল হয়ে ওঠে।
ভালোবাসার হরমোন ‘অক্সিটোসিন’:
কাউকে জড়িয়ে ধরা, চুমু খাওয়া বা মায়া দেখালে দেহে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়। এতে সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে।
হার্টব্রেক সত্যিকার অর্থেই ‘ব্যথা’ দেয়:
প্রেমে বিচ্ছেদ মানে মন ভেঙে যাওয়া। এই ভাঙন মনের পাশাপাশি শরীরকেও কষ্ট দেয়। বিচ্ছেদের সময় মস্তিষ্কের সেই অংশ সক্রিয় হয়, যা শারীরিক যন্ত্রণার সময় কাজ করে। তাই হার্টব্রেক বা ব্রেকআপ কেবল মানসিক না, শারীরিকভাবেও কষ্টদায়ক।