যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও বিমানে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭ ফোন নিয়ে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। নোট ৭ বিস্ফোরণে আগুনের ঝুঁকি থেকে সতর্ক থাকতেই আজ রোববার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রও সব ধরনের বিমানের ফ্লাইটে স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭ ফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ কার্যকর করে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্মার্টফোন তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। কিন্তু এরই মধ্যে নোট ৭ ফোনের ব্যাটারি বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এর উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার কান্তাস ও জেটস্টার এয়ারলাইনসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক দিনে বিশ্বব্যাপী নোট ৭-এর ব্যাটারি বিস্ফোরণে বেশ কিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক দেশ ফোনটি নিষিদ্ধ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে তারাও নোট ৭ ফোন নিয়ে বিমানে যাত্রা নিষিদ্ধ করছে। এতে আরও বলা হয়, হাতব্যাগ ও লাগেজের ভেতরেও নোট ৭ নেওয়া যাবে না। এই সিদ্ধান্ত আজ থেকে কার্যকরের কথাও জানায় তারা।
ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া, টাইগার এয়ার অস্ট্রেলিয়া ও এয়ার নিউজিল্যান্ডও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ভার্জিন ও এয়ার নিউজিল্যান্ড দুর্ঘটনা এড়াতে যাত্রীদের বিমানবন্দরেই নোট ৭ ফোন আনতে মানা করেছে। এয়ার নিউজিল্যান্ড কঠোরভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের বিমানে ভ্রমণের সময় কোনোভাবেই নোট ৭ বহন করা যাবে না। আর এটিও আজ থেকে কার্যকর করার কথা জানানো হয়।
এর আগে গত মাসে স্যামসাং ফোন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিমানে ভ্রমণের সময় যাত্রীদের স্মার্টফোন ব্যবহার ও ব্যাটারি চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল।
গত শুক্রবার মার্কিন কর্মকর্তারা বিমানে সব নোট ৭ ফোন বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কেউ এটা না মানলে তাকে জরিমানা এবং ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ার করে দেন।
গ্যালাক্সি নোট ৭ ফোন নিয়ে সংকট তৈরি হওয়ায় বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট এই প্রতিষ্ঠানটি।