
উত্তর পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানানো হয়। খবর জিও নিউজ।
খবরে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রামেই সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র বুনেরে ২১৩ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া গিলগিট বালতিস্তানে (জিবি) ১২ জন এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে (এজেকে) ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া খাইবার পাখতুনখোয়ার বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যেতে গিয়ে দেশটির একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দুজন পাইলটসহ মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে, বুনেরে আরেকটি হেলিকপ্টার উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, দেশব্যাপী ২৮ জন আহত হয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১৬টি বাড়ি। ধ্বংসযজ্ঞে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি একাধিক এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোবাইলের অনেক টাওয়ার।
পিটিআই চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গোহর খান বলেন, ‘বুনেরে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পুরো গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, রাস্তাঘাট এবং অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের মনোযোগ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের ওপর, তবে বেশ কয়েকটি স্থানে পৌঁছানোর জন্য হেলিকপ্টার অপরিহার্য হবে।’
বুনেরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে, হাসপাতালগুলোকে জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে বন্যা কবলিত এলাকায় যথাযথভাবে ত্রাণ বিতরণের নির্দেশনা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।