শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি মেটাতে নুনের অবদান অপরিহার্য। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে অনেকেই এখন নুন খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। জানেন এতে হতে পারে হিতে বিপরীত।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। ফলে খাবারে নুন খাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছে বললেই চলে। কিন্তু এই নুনের অভাবেই শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। হচ্ছে হরমোনজনিত সমস্যা।
আমাদের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি মেটায় নুন। আজকালকার দিনে সবাই সাদা নুনের পরিবর্তে পিঙ্ক বা ব্ল্যাক সল্ট খাচ্ছেন। এতে করে শরীরে সেই আয়োডিনের ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে ১৫০ মাইক্রোগ্রাম আয়োডিন প্রয়োজন। কিন্তু সাদা লবনের পরিবর্তে অন্য নুন খেলে এই অভাব মেটানো অসম্ভব।
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদদের মতে, সাধারণ নুনে যে পরিমাণ আয়োডিন থাকে তা পিঙ্ক সল্টে পাওয়া যায় না। আয়োডিন থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ, মস্তিষ্কের গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে আয়োডিনের প্রয়োজন হয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি দেখা দিলে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। আয়োডিনের অভাবে গয়টার রোগ হতে পারে। সারা দিনে এক চা চামচের অর্ধেক নুন থেকে দৈনিক আয়োডিনের মাত্রা পূরণ করে। কিন্তু এই পরিমাণ নুন শরীরে প্রবেশ না করলে হরমোনজনিত সমস্যাও দেখা দেয়।
সাধারণত সমুদ্রের জল থেকে নুন তৈরি হয়। এই সাদা নুনেই আয়োডিন থাকে। কিন্তু পিঙ্ক সল্ট খনিজ পাথর থেকে তৈরি হওয়ায় এতে আয়োডিনের ঘাটতি থেকেই যায়।
বিটনুনেও আয়োডিন থাকে না। যারফলে খাবার পাতে এই নুন গ্রহন করলেও শরীরে মেটে না আয়োডিনের চাহিদা। কারণ, বিটনুনও খনিজ পাথর থেকে তৈরি হয়।
এখনকার দিনে অনেকেই ডায়েটে পিঙ্ক সল্ট বা কালো লবন ব্যবহার করে। এই লবনে আয়োডিন না থাকায় বহু মানুষের মধ্যে এর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।