মুখে অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সাধারণত কপালে, গালে, নাকের নিচে সাধারণত অবাঞ্ছিত লোম দেখা যায়। মুখের লোম শেভ করাও সম্ভব হয় না। অনেক আবার লেজার ট্রিটমেন্ট করিয়ে থাকেন। কিন্তু এটি ব্যয়বহুল হওয়ায় সবাই লেজার ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন না। অবাঞ্ছিত লোম দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায় আছে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে করা হয় বলে এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
চিনি ও লেবুর রস
চিনি ও লেবুর রস এক্সফলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। এটি মুখের লোম দূর করে এর ঘনত্ব কমিয়ে থাকে। ২ টেবিল চামচ চিনি, ১০ টেবিল চামচ পানি ও ২ চা চামচ লেবুর রস নিয়ে প্রথমে চিনি এবং পানি ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে লেবুর রস দিয়ে দিন। এবার মুখে ভালো করে লাগান। ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। মুখ ধোয়ার সময় ভালো করে স্ক্রাবিং করে নিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করুন।
ডিমের সাদা অংশ মধু, চিনি
ডিমের সাদা অংশ মধু, চিনির মতো চিটচিটে হয়ে থাকে। ফলে এটি মুখে শুকিয়ে গেলে টান দিলে অবাঞ্ছিত লোম চলে আসে। আর সহজে লোম মুখ থেকে দূর হয়ে যায়। ১/২ চা চামচ কর্ণ ফ্লাওয়ার, ১টি ডিম ও ১ টেবিল চামচ চিনি নিন। প্রথমে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কর্ণ ফ্লাওয়ার এবং চিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এটি ভালো করে মুখে লাগান। ২০-২৫ মিনিট শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। এবার এটি মাস্কের মত টান দিয়ে উঠিয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার এই প্যাক ব্যবহার করুন।
অবাঞ্ছিত লোম দূর করার সহজ একটি উপায় হলো বেসন। প্রথমে লেবুর রস এবং পানি মিশিয়ে নিন। এবার এতে বেসন মেশান। এই প্যাকটি ভালো করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দুই বার করুন।
বেকিং সোডা
এই পদ্ধতিটি অবশ্যই রাতে অবলম্বন করতে হবে। দিনে করা যাবে না। পরিমাণ যেটুকু বলা আছে, সেটুকুই ব্যবহার করবেন। -২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ২০০ এমএল ফুটন্ত পানির সাথে মিশিয়ে নিন। তারপর পানিতিকে ঠাণ্ডা হতে দিন সম্পূর্ণভাবে। -কয়েক টুকরো সুতি কাপড় বা গোঁজ ব্যান্ডেজ এই মিশ্রণে ভিজিয়ে একটু নিংড়ে নিন। তারপর সেই স্থানে লাগিয়ে রাখুন যেখানে বেশী লোম গজায়। এমনভাবে মুখে লাগান, যেন কাপড় বা ব্যান্ডেজের টুকরো মুখে লেগে থাকে সারা রাত। টিস্যু পেপারও ব্যবহার করতে পারেন, সেটা বেশ ভালো ভাবে লেগে থাকে। -সকালে মুখ ধুয়ে খুব ভালো ময়েসচারাইজার লাগিয়ে নিন। ২/৩ দিন ব্যবহার করলেই বাড়তি লোম ঝরে পড়তে শুরু করবে।
টিপস
মুখে কাপড় লাগিয়ে ঘুমাতে না পারলে আক্রান্ত স্থানে মিক্সচার মাখুন। শুকিয়ে গেলে আবারও মাখুন। এমন করে কয়েকবার দেয়ার পর সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে মুখ না ধুয়েই বিছানায় যান। তবে এভাবে লোম ঝরতে সময় লাগবে।
রসুন
অনেক কাজের কাজী এই রসুন মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতেও দারুণ এক্সপার্ট। কী করবেন? তেমন কিছুই না। চলুন জেনে নিই -রসুন টুকরো করে নিন। আক্রান্ত স্থান গুলোতে ঘষুন। -আধা ঘণ্টা রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন। -দিনের মাঝে বেশ কয়েকবার এমন করুন। -৩/৪ দিনের মাঝেই হেয়ার গ্রোথ কমে আসবে।