বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: আর কষ্ট করে নেপাল গিয়ে জীবন বিপন্ন করে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া বিজয় করার দরকার নেই। ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগতেই মিনিটখানেকের মধ্যে জয় করতে পারেন হিমালয় পর্বতের শীর্ষ চূড়া মাউন্ট এভারেস্ট!
এই অভিযানে ঝড়ো বাতাসের শব্দ রক্ত হিম করবে কিন্তু ঠাণ্ডায় হিম হবেন না। অনেক উচ্চতায় উঠে শ্বাসকষ্টের কোনো আশঙ্কা নেই, খারাপ আবহাওয়ার কবলে বা চরম বন্ধুর খাঁজে পড়ে মৃত্যুর ঝুঁকিও নেই।
মনে রাখবেন, এই চূড়ায় উঠতে গিয়ে ২৫০ জন পর্বতারোহী বেঘোরে প্রাণ দিয়েছেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে এভারেস্ট বিজয় করতে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে একজনই মারা গেছে।
এসব ঝুঁকি এড়িয়ে এভারেস্ট বিজয়ে আনন্দ দিতে একটি ত্রিমাত্রিক সিমুলেশন নির্মাণ করেছে ডিসকভারি চ্যানেল।
এতে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উপরে এভারেস্ট বেজক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু হবে। এখান থেকেই আপনাকে বিপজ্জনক খুম্বু তুষার ঝর্ণা পাড়ি দিতে হবে। এটিকে বরফের নদী বলা যায়। এখানকার হিমবাহগুলো আচমকা সরে যায়। হঠাৎ ফাঁক হয়ে যায়।
একদিনে ছয় ফুট পর্যন্ত বরফ সরে যেতে পারে। এবং মাঝখানের ফাঁক হঠাৎ বন্ধও হয়ে যেতে পারে আবার হঠাৎ ফাঁক হয়ে যেতে পারে। বরফখণ্ডগুলো এভাবে চলমান হওয়ার কারণে রশি পিছলে যে কোনো সময় প্রাণ হারাতে হতে পারে।
ত্রিমাত্রিক ওই সিমুলেশনটি ৩৬০ ডিগ্রি কোণে দেখা যায়।
সিমুলেশনে খুম্বু তুষারঝর্ণাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কারণ পর্বতারোহীরা এই অংশটিকেই বেশি ভয় পান। গত এপ্রিলে এখানে তুষার ধসে ১৬ জন শেরপা মারা যান।