বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: কলকাতা চন্দন দাসের স্ত্রী পার্বতী দাস গত সোমবার ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রসূতি বিভাগে। মঙ্গলবার দুপুরে সিজার হয় তার। অস্ত্রোপচারের সময় অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শাশুড়ি রেবতী দাস। আর স্বামী চন্দন দাস যান ডাক্তারের লিখে দেয়া ওষুধ কিনতে।
ওষুধ কিনে এসে তিনি জানতে পারেন তাদের সংসারে ছেলে সন্তান হয়েছে। সেই সন্তান মাকেও দেখানো হয়েছে। ওয়ার্ডের আয়ারা ২০০ টাকা বকশিস চায় চন্দনের কাছ থেকে। খুশি হয়ে সে বকশিসও দেন তিনি।
কিন্তু ওইদিন মধ্যরাতেই ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ করেই তাকে ডেকে নিয়ে যায় ওয়ার্ডে কর্মরত পুরুষকর্মীরা। একটা কাগজে তারা জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপর বলা হয়, তাদের ছেলে নয়, হয়েছে মেয়ে সন্তান।
বিভ্রান্ত হয়ে এই দরিদ্র পরিবার হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট শিখা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানায়। কিন্তু এরপরই শুরু হয় প্রসূতি বিভাগের জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার হুমকি।
ডাক্তাররা চন্দন চন্দন দাসকে হুমকি দিয়ে বলে, ডিএনএ টেস্ট করার পর যদি অভিযোগ ভুল প্রমাণ হয়, তা হলে তাদেদের বিরুদ্ধে মামলা করবে।
এ বিষয়ে মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট শিখা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ না খুললেও অধ্যক্ষ তপনকুমার লাহিড়ী বলেন, ‘আমি বিষয়টা শুনেছি। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ জমা হয়নি।’