বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ কমিউনিটির অগ্রদূত “সেতু” এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মত আয়োজন করল পীচ-টু-উইন। গত বছরের মতন এবারো বিপুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে “এমফিক্সার” গত বৃহস্পতিবার মিরপুরস্থ হাবঢাকায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে তাদের ব্যবসার আইডিয়াটি উপস্থাপন করে জিতে নেয় ৫০,০০০ টাকার ব্যবসায় মূলধন। এ প্রতিযোগীতায় সেতুকে সহয়তা করেছে ই,এম,কে সেন্টার এবং আমেরিকান এমব্যাসি।
দেশের উদ্যোক্তাদের পিচিং কিংবা ব্যবসার আইডিয়া উপস্থাপনের প্রক্রিয়াটিকে আরো উন্নত করতে সেতুর পক্ষ থেকে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এবারের প্রতিযোগিতায় নতুন সংযোজন ছিল পীচ-ক্লিনিক, যেখানে মেন্টররা অংশগ্রহণকারীদের সাহায্য করেছেন তাদের উপস্হাপনাকে আরো সাবলীল ও প্রাণবন্ত করে তুলতে।
এ প্রসঙ্গে সেতুর সিইও সাজিদ ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা অনেক মেধাবী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে শক্ত অবস্থান তৈরি করে তারা যেমন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন তেমনি দেশ ও জাতির জন্য সুনাম বয়ে আনছেন। এ প্রতিযোগিতায় আমরা চেষ্টা করেছি তাদের এলিভেটর পীচ-কে কিভাবে আরো উন্নত করা যায় যে বিষয়ে কিছুটা সাহায্য করতে। এতে যদি তাদের বিন্দুমাত্র উপকার হয় তাতেই আমরা আমাদের চেষ্টা সফল বলে ধরে নেব”
এবারের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিঙ্গাপুর হতে আগত “এডরিয়ানা তান”। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের বিচারকার্যে নিয়োজিত ছিলেন- সাজিদ ইসলাম (প্রতিষ্ঠাতা, সেতু), ন্যাস ইসলাম (সি,ই,ও, জি এন্ড আর) এবং এডরিয়ানা তান (ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিলিকন স্ট্রেটস)। বিচারক এডরিয়ানা তান আমাদের বলেন, “আজ নতুন উদ্দোক্তাদের উপস্হাপনা দেখে আমি অভিভূত, তারা অনেক উদ্দোমী এবং পরিশ্রমী”।
বাংলাদেশের মেধাবী উদ্যোক্তা এবং তাদের সম্ভাবনার মধ্যে সমন্নয়কারী হিসেবে সেতু একটি নিবেদিতপ্রাণ প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত তারা আয়োজন করেছে- পিচ-টু-উইন, কোড-টু-উইন, স্টার্ট-আপ ব্যাশ এবং স্টার্ট-আপ উইকেন্ড। তাদের লক্ষ্য এদেশে একটি শক্তিশালী স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।