মো. আবুল হাসান ও খন রঞ্জন রায় :: জাতিতে জাতিতে সৌহার্দ, সম্প্রতি ও ভালোবাসা বজায় রাখা এবং বিশ্বের জনগোষ্ঠীর হিংসা, বিদ্বেষ ও সংঘর্ষ-সংঘাত দূর করে এক পৃথিবীর এক মানবগোষ্ঠীর মেলবন্ধন সৃষ্টিই অলিম্পিক আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য। গ্রিক সভ্যতার স্বর্ণযুগে সূচিত হওয়া সীমিত আকারের অলিম্পিকের উদ্দেশ্য ছিল দেব- দেবীর তুষ্টি আর মনোরঞ্জন। অ্যাথলেট আর ক্রীড়াবিদদের শক্তি, শৌর্য ও সামর্থ্য নিবেদন করা হতো। ফ্রান্সের ব্যারন ডি কুবার্টিন জন্ম দেন নব্য অলিম্পিকের। দাঙ্গাবিুব্ধ পৃথিবীতে আধুনিক অলিম্পিক নিয়ে আসে শান্তির বাণী। সারা বিশ্বের তরুণ আর যুবসমাজ মিলিত হয় অলিম্পিক পতাকাতলে, জ্বলজ্বলে অলিম্পিক মশাল সৃষ্টি করে সোনালি অতীত, গৌরবোজ্জ্বল বর্তমান আর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন। অনেকে বলে জাতিসংঘ অর্থ , বিত্ত-বৈভর আর প্রভাব দিয়ে যা পারেনি অলিম্পিকের ভূমিকা এর থেকেও অনেক উজ্জ্বল দ্যুতিময়। মশাল অলিম্পিকের অবিচ্ছেদ্য ইতিহাস। প্রাচীন অলিম্পিক চলাকালে গ্রিসের অলিম্পিয়ায় জিউস দেবতার বেদিতে পবিত্র মশাল শিখা প্রজ্বলিত করে জ্বালিয়ে রাখা হতো। ১৯২৪ আমস্টার্ডাম গেমস থেকে পুনরায় অলিম্পিক মশাল চালু হয়।
গ্রিক ভাষার কবি কেস্তিস আলামাসের লেখা অলিম্পিক সংগীতে সুরারোপ করেছিলেন আরেকজন গ্রিক কবি ও সুরকার স্পাইরোস সামারাস। ১৮৯৬ সালে গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সে হওয়া প্রথম আধুনিক অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো গাওয়া হয়েছিল অলিম্পিক সংগীত। গেল বছরের আসরটি বসেছিল লন্ডনে ১৬ জুলাই থেকে ১৩ আগষ্ট মোট ১৬ দিনের। অলিম্পিক শেষেও রয়ে গেছে রেশ। বিশ্বে যা কিছু মহান চির-কল্যাণকর অর্ধেক করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নরÑ কবি নজরুল অনেক আগেই এমন কথা লিখে গেছেন। নারী অধিকার সব স্তরে প্রতিষ্ঠিত না হলেও নারীরাও এগিয়ে আসছেন। যেমন লন্ডন অলিম্পিক গেমসে। পদক জেতার দৌড়ে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরাই।লন্ডনে নারী ক্রীড়াবিদদের আধিপত্য শীর্ষ স্বর্ণপদক জেতা দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দলে। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ স্বর্ণের ২৯ টিই এনে দিয়েছিল মেয়েরা। চীনের ৩৮ স্বর্ণপদকের ২০ টি নারীদের। মেয়েদের এমন আধিপত্যের পরিসংখ্যান রাশিয়ান দলেও।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি আইওসির নিয়ম অনুসারে অলিম্পিকে প্রত্যেক দেশ থেকে অন্তত দুজন প্রতিযোগীর অংশগ্রহণ করার সুযোগ উন্মুক্ত। এ দুজনের মধ্যে একজন হবেন পুরুষ, অন্যজন মহিলা। কিন্তু এই লন্ডন অলিম্পিকের আগে কখনোই অংশগ্রহণকারী সব দেশ মহিলা প্রতিযোগী পাঠায়নি। সৌদি আরব, আফগানিস্তান, কাতার আর ব্র“নাই থেকে এবারই প্রথম অংশ নিলেন মহিলা প্রতিযোগীরা। প্রথম মহিলা প্রতিযোগী হওয়ার ইতিহাস গড়তে গিয়ে কোহিস্তানি আর শাহেরখানিকে লন্ডনে আসার পর নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়েছে। ইসলামের ধর্মীয় অনুশাসন অনুসারে মেয়েদের মাথার চুল ঢেকে সৌদি আরবের প্রথম মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ইতিহাস গড়েন শাহেরকানি। ঐতিহ্যের অলিম্পিকে হিজাবের জয় হয়েছে। ১৬ দিনের প্রতিযোগিতায় ৩০২ টি পদকের জন্য লড়াই করেছেন ১০ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেট। যাতে বিশ্বরেকর্ড হয়েছে ৪৬ টি। শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জিতেছে ১০৪ টি পদক। তার মধ্যে স্বর্ণপদক ৪৬ টি , রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ ২৯ টি করে। দ্বিতীয় হয়েছে চীন। তারা পেয়েছে ৩৮ স্বর্ণপদকসহ ৮৭ টি পদক। স্বাগতিকদের সুবিধা নিয়ে তৃতীয় হয়েছে গ্রেট ব্রিটেন। তারা পেয়েছে ৬৫ টি পদক। যার ২৯ টি স্বর্ণ। তারা পেছনে ফেলেছে রাশিয়াকে। রাশিয়া পেয়েছে ২৪ টি স্বর্ণপদক। মোট পদকের সংখ্যা ৮২ । দখল করেছে চতুর্থ স্থান।
লন্ডন অলিম্পিকের নায়ক অনেকেই হয়েছেন, কিন্তু মহানায়ক হয়েছেন তিনজন। উসাইন বোল্ট, মাইকেল ফেলপস এবং মোহাম্মদ ফারাহ। এ তিনজনই হৃদয় জয় করেছেন কোটি কোটি দর্শক সমর্থকের। কিংবদন্তিদের কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছেন জ্যামাইকার ‘অতিমানব’ বোল্ট। টানা দুটি অলিম্পিকে জিতেছেন ১০০, ২০০, এবং ৪০০ মিটার রিলের স্বর্ণপদক। যেটি অলিম্পিকের ইতিহাসে আর কারও করার সামর্থ্য হয়নি।
প্রযুক্তিতে প্রতিটি মুহুর্তে নতুন নতুন অগ্রগতি হচ্ছে। সে হিসেবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত ও বনেদি আসর বলা হয়ে থাকে অলিম্পিক গেমসকে। বাংলাদেশের মত দেশের কাছে যেখানে অংশগ্রহণটাই বড় কথা হয়ে থাকে সেখানে চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কে কত বেশি স্বর্ণ জিততে পারে চলে সে প্রতিযোগিতা। প্রযুক্তিতে দিন বদলের মতই বদল হয়েছে অনেক কিছূ।
প্রযুক্তি যতটা পরিবর্তন তার বেশিরভাগই চলতি শতাব্দীতে। সে কারণেই গত শতাব্দীর চেয়ে চলতি শতাব্দীর আয়োজনের দিক থেকে অনেক পার্থক্য ল্য করা যায়। প্রযুক্তির বদৌলতে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় বিচারকরা। তাদের স্থান নির্ধারণের বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে যায়। পাশাপাশি অ্যাথলেটরা প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের ক্রীড়াশৈলীতে দিতে থাকেন নতুনত্বের ছোঁয়া। এছাড়া সাঁতারে সুইম স্যুট ইলেকট্রনিক রিয়েল টাইম কভারেজ প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে অ্যাথলেট, বিচারক ও কোচরা সুবিধা প্রাপ্তির দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকেন। নতুন নতুন গ্রাফিক্স উদ্ভাবনের মাধ্যমে আরো সমৃদ্ধ ও মানসম্পন্ন আয়োজন হয়েছে। অনেক সূè ফল যা পেতে অনেক সময়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হতো সেগুলো মুহুর্তেই পাওয়া যাচ্ছে। প্রযুক্তির কল্যাণে অলিম্পিকে ব্যবহার হতে থাকে হেলমেট ক্যামরা, অন স্ক্রিন স্পিডোমিটারসহ অন্যান্য প্রযুক্তি। এসব প্রযুক্তি শুধু অলিম্পিক গেমসকে সমৃদ্ধ করেছে তা নয় ধীরে ধীরে এ প্রযুক্তিগুলো জায়গা করে নিয়েছে ফুটবল, বাস্কেটবল খেলাগুলোতে।
গেল অলিম্পিকের ৯৪ ভেন্যুতে ১০ হাজার কম্পিউটার সার্ভার, নেটওয়ার্ক ও সিকিউরিটি ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। লন্ডন অলিম্পিকের প্রযুক্তি বেইজিং অলিম্পিক প্রযুক্তির চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি কার্যকর ছিল। ফলস্বরূপ যে কোন জায়গা থেকে নিমিষেই পাওয়া গেছে তরতাজা সব তথ্য। অলিম্পিক মাঠে দেখার পাশাপাশি টিভিতে দেখেছেন ৪ বিলিয়নেরও বেশি মানুষ। যা পৃথিবীর মোট চার ভাগের তিনভাগ। ব্যবহৃত সব প্রযুক্তি একটি অপারেশন সেন্টারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সেটির নাম মিশন কন্ট্রোল। এর সহায়তায় ৯৪ টি অলিম্পিক ভেন্যুর ফলাফল, আইটি নিরাপত্তা ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ প্রযুক্তির ব্যবহার সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ৪৫০ জন টেকনিশিয়ান ২৪ ঘন্টা ভেন্যুর অভ্যন্তরে ও বাহিরে অবস্থান করেছিলেন। যদি কোন কারণে আবহাওয়া বৈরী থাকে তাহলে বৃষ্টিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রস্তুতিও ছিল। ডিজিটাল অলিম্পিক গেমসের বাইরে এবারের অলিম্পিক সবুজ শ্যামল ছায়ায় আচ্ছাদিত ছিল। একটি বিশেষ প্ল্যান্ট থেকে সার্বণিক বিদ্যুৎ, ঠান্ডা ও গরম পানি সরবরাহ করা হয়েছে অলিম্পিক পার্কে। এখানে এমন একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় যাতে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ গ্রিডের চেয়ে ৩৩ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য ছিল মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম। এ কারণে লন্ডন অলিম্পিককে নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজিটাল অলিম্পিক’।
খেলোয়াড পাঁচজন আর কর্মকর্তা ৪৫জন মিলে এবারের অলিম্পিকে বাংলাদেশের দলটি একেবারে ৫০ জনের। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সদস্য ২০৪ দেশের মধ্যে ৮০ টি দেশের ভাগ্যে এখনও অলিম্পিকের কোন পদক জোটেনি। বঞ্চিত তালিকায় বাংলাদেশের স্থান ওপরের সারিতে। বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ বাংলাদেশের অলিম্পিক অভিষেক ঘটে ১৯৮৪ সালে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে। এতে বাংলাদেশের একমাত্র ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নেন ১০০ মিটার প্রিন্টার সাইদুর রহমান ডন। এরপর সিওল, বার্সেলোনা, আটলান্টা, সিডনি, এথেন্স, বেইজিং। পর পর সাত অলিম্পিক আসরেই উড়েছে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। কিন্তু তা শুধু শোভা বাড়িয়েছে উদ্বোধনী আসরগুলোরই।
এবারের অলিম্পিকে অংশ নেয়া দেশগুলোর মধ্যে কেনিয়, ইথিওপিয়া কিংবা কাজাকিস্তানের মতো দেশের নাম রয়েছে। এসব দেশের অ্যাথলেটরা বাংলাদেশী অ্যাথলেটদের মতো এতো বেশি সুযোগ সুবিধা পায়না। তারপরও আপন আলো ছড়িয়ে তারা উজ্জ্বল। কেনিয়া ২, ইথিওপিয়া ২ ও কাজাকিস্তানের অ্যাথলেটরা ৫ টি করে পদক জিতেছেন। লন্ডন অলিম্পিক ২০১২ ছিল আংশিকভাবে হলেও বাঙালির অলিম্পিক। এই অলিম্পিক আয়োজনে ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের ভূমিকা ছিল সর্বমহলে প্রশংসনীয়। অলিম্পিক ২০১২’র আয়োজক হওয়ার দৌড়ে প্যারিসের চেয়ে মাত্র চার ভোট বেশি পেয়ে লন্ডন হয়েছিল অলিম্পিক ২০১২ এর আয়োজক। আর এর পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান যার তিনি বাঙালি নারী আয়েশা কোরেশী। এর স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অবশ্য ব্রিটেনের রানী কর্র্তৃক এমবিই ( মেম্বার অব ব্রিটিশ এম্পায়ার) পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। লন্ডন অলিম্পিক ২০১২ আয়োজনের জন্য যে আয়োজক কমিটি কাজ করেছে সেখানেও ছিল একজন বাঙালি, তিনি হলেন ড. মোহাম্মদ আবদুল বারী। লন্ডন অলিম্পিক ২০১২ উপলে পাঁচ পাউন্ড মূল্যের যে স্মারক মুদ্রাটি বের করা হয়েছে সেই মুদ্রার ডিজাইনও করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী যুবক সায়মান মিয়া। অলিম্পিকের টর্চ হাতে দৌড়ানো বিশাল সম্মানের। যুক্তরাজ্যের আট হাজার সৌভাগ্যবান মানুষের সুযোগ হয়েছে এই টর্চ হাতে দৌড়ানোর , যার মধ্যে ব্রিটিশ বাংলাদেশী ছিল নয়জন। লন্ডন অলিম্পিক ২০১২’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ইতোমধ্যেই অনেকে বলেছেন ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। স্লামডগ মিলিয়নেয়ার ছবির পরিচালক ড্যামি বোরেল ছিলেন এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায়। আর তিনিই অনুষ্ঠানের কোরিওগ্রাফি এবং একক নৃত্যের জন্য বেছে নিয়েছেন বিখ্যাত আরেক ব্রিটিশ বাঙালি ড্যান্সার এবং কোরিওগ্রাফার আকরাম খানকে। শুধু তাই নয়, যে মেট্রোপলিটন শহরে অলিম্পিক আসর বসেছে সেখানের মেয়র লুৎফর রহমানও একজন বাঙালি।
মুখে দাড়ি, গায়ে কুর্ত্তা, পায়ে চম্পল, মাথায় টুপি ওয়ালারা টঙ্গীতে ১৯৬৬-২০১৩=৫৭ টি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুষ্ঠান বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি ) কে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হলে এই শতাব্দীতেই বাংলাদেশের মাটিতে অলিম্পিক গেমস আয়োজন অসম্ভব হবে, এ চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
২০৪ টি দেশের অলিম্পিক মশাল যা আবার জ্বলবে ঠিক চার বছর পর ২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে। ফের বসবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের মেলা। উড়বে অলিম্পিক গেমসের ভ্রাতৃত্বের পতাকা। বিশ্বের হাজার হাজার অ্যাথলেট আবার দাঁড়াবেন একমঞ্চে।
জেনেটিক্যালি আমাদের সব যোগ্যতাই আছে। নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রীড়াবিদ ও খেলোয়াড় সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানে বসবাসকারী পাহাড়ী জনগোষ্ঠী বা ঝুমিয়ারা কাঁেধ-পিঁঠে বোঝা বয়ে পাহাড়ের পর পাহাড় ডিঙ্গায়। প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার যোগ্যতা বিশ্বের অনেকের চেয়ে এদের অনেক বেশি। তাদের বংশধারায় এই সহ্যশক্তির উপযুক্ত ডিএনএ বহন করে আসছেন। এদের উপযুক্ত শিা ও প্রশিণ দিয়ে ভারোত্তালন, বর্ষা নিপে, চাকতি নিপে, কুস্তি, দ্রুত ও দীর্ঘ দৌড় (১০০ মিটার ¯িপ্রন্ট থেকে ম্যারাথন পর্যন্ত) উচ্চ ও দীর্ঘ লাফ, ফুটবল , কাবাড়ি, প্রভৃতি ক্রীড়া ও খেলাধুলার প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে।
অলিম্পিকে অংশ গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে একাধিক ক্রীড়া শিা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করতে হবে। চালু করতে হবে প্রতিটি ইভেন্ট ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা শিা কোর্স। সরকারি বেসরকারি ক্রীড়া শিা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ নীতি সহজ সরল করার ল্েয প্রতিষ্ঠা করতে হবে বিভাগীয় ডিপ্লোমা শিা বোর্ড। যে বোর্ডের দিক নির্দেশনায় জন্ম নিবে নবজাতক ক্রীড়াবিদ। ২০১৬ ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে চীন, আমেরিকা, রাশিয়া, জামাইকার সাথে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজবে।
মো. আবুল হাসান, সভাপতি
খন রঞ্জন রায়, মহাসচিব
ডিপ্লোমা শিক্ষা গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ।
৪৭, মতি টাওয়ার, চকবাজার, চট্টগ্রাম।