অনেকেই প্রাণী পুষতে ভালোবাসেন। তবে সব প্রাণীকে ঘরে রাখা বৈধ নয়। ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন (Wildlife Protection Act, 1972) অনুসারে কিছু বন্যপ্রাণী এবং বিদেশি প্রজাতিকে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই আইনটি প্রাণীদের সুরক্ষা, পরিবেশের ভারসাম্য এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

বন্যপ্রাণী আইনে সুরক্ষিত
এই তালিকায় বাঘ হল ভারতের অন্যতম সুরক্ষিত প্রাণী। বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের অধীনে এগুলিকে ঘরে রাখা অবৈধ। বাঘের আক্রমণাত্মক স্বভাব এবং শক্তিশালী শারীরিক গঠন মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর পক্ষে বিপজ্জনক। কৃষ্ণসার হরিণকে এশিয়ার কিছু দেশে বিশেষ সম্মান করা হয়।
১৯৭২ সালের আইনের অধীনে কৃষ্ণসার হরিণও সুরক্ষিত। একে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখার চেষ্টা করলে আইনত সমস্যা হতে পারে। তালিকায় আছে হাতির নামও। হাতি একটি বিরাট এবং সামাজিক প্রাণী। এগুলি ঘরে রাখা প্রায় অসম্ভব এবং শুধুমাত্র সরকারি অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত মালিকানায় রাখা বেআইনি।
লাল বালি বোস-সহ সাপের কিছু প্রজাতি জনপ্রিয় হলেও এগুলি বন্যপ্রাণী আইনের অধীনে সুরক্ষিত। অনেক সাপ বিষধর, যা মানুষ ও অন্যান্য পোষা প্রাণীর জন্য বিপজ্জনক। হিমালয় অঞ্চলের আদিবাসী লাল পান্ডা বিপন্ন প্রাণী। তাদের প্রাকৃতিক বাসস্থান রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। তাই এগুলিকে বাড়িতে রাখা আইনত নিষিদ্ধ।
আকর্ষণীয় খোলসের জন্য কচ্ছপ চাহিদা বেশ বেশি। তবে ১৯৭২ সালের আইন অনুসারে, কিছু প্রজাতির কচ্ছপ সুরক্ষিত। এগুলো পোষা বেআইনি এবং দণ্ডনীয়। গোলাপি রঙের প্লাম-হেডেড এবং অন্যান্য প্যারাকিট প্রজাতি সুরক্ষিত। এগুলিকে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখা বেআইনি।
এই সব বন্যপ্রাণীকে বাড়িতে রাখলে শুধু আইন ভঙ্গই হয় না, বরং মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের ভারসাম্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যপ্রাণীর প্রাকৃতিক আচরণ, খাদ্য এবং বসবাসের চাহিদা বাড়িতে পূরণ করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই বন্যপ্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতাকে কঠোর আইনিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।