জেনারেটর হচ্ছে বর্তমান সময়ে খুবই জরুরী একটি ডিভাইস। বাসা-বাড়ি, অফিসে কিংবা শিল্প কলকারখানায় বিদ্যুৎ না থাকলে বা লোড-শেডিং দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুতের সরবরাহ করা হয়। জেনারেটরের জ্বালানী হিসেবে ডিজেল ব্যবহার করা হয় ফলে বিদ্যুতের চাহিদা সাময়িক সময়ের জন্য জেনারেটর দিয়ে পূরন হয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কেভিএ জেনারেটর বাজারে পাওয়া যায় এর জন্য আগে থেকেই নির্বাচন করা কোন কাজের জন্য কত কেভিএ এর জেনারেটর প্রয়োজন। আসুন জেনে বিস্তারিত নেওয়া
যাক জেনারেটরের কেভিএ সম্পর্কেঃ-
জেনারেটরের কেভিএ হচ্ছে এর ক্ষমতার একক। কেভিএ এর পূর্ণরূপ হচ্ছে কিলো-ভোল্ট-অ্যাম্পিয়ার। একটি জেনারেটরের কেভিএ যত বেশি হবে এর কার্যক্ষমতা তত বেশি হবে।
ছোট প্রতিষ্ঠান বা বা অফিসঃ
ছোট প্রতিষ্ঠান বা অফিসে জন্য এককভাবে ব্যবহার করলে বড় কোন জেনারেটরের প্রয়োজন পরে না। সাধারণত সিঙ্গেল ফেজের জেনারেটর বা ২২০ থেকে ২৩০ ভোল্টের জেনারেটর ছোট প্রতিষ্ঠান বা অফিসে জন্য যথেষ্ঠ। এর জন্য ৫ কেভিএ থেকে ১০ কেভিএ এর জেনারেটর ব্যবহার করা যাবে।
বড় প্রতিষ্ঠান বা বড় ফ্ল্যাট বাসাঃ
বড় ফ্ল্যাট বাসা বা বড় অফিসের জন্য উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটরের প্রয়োজন পরে। এর জন্য ১০ কেভিএ থেকে ১০০ কেভিএ পর্যন্ত জেনারেটর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সকল কাজে সাধারণত ডিজেল জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। সিঙ্গেল ফেজের জেনারেটর ও থ্রি-ফেজের জেনারেটর উভয়
ধরনের জেনারেটর ব্যবহার করা যায়।
শিল্প কারখানার জন্যঃ
যেহেতু সিঙ্গেল ফেজ পাওয়ার দিয়ে শিল্প কারখানা চলে না তাই থ্রি-ফেজ পাওয়ার দিয়ে চালানো হয়। এর জন্য থ্রি-ফেজের জেনারেটর ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। থ্রি-ফেজ জেনারেটর সাধারণত ৪০০ ভোল্ট থেকে ৪১৫ ভোল্ট পর্যন্ত উতপাদন করা যায়। এই ধরনের জেনেরেটর কাস্টমাইজ করে তৈরি
করা হয়ে থাকে। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী জেনারেটর তৈরি করে নেওয়া যাবে।
ছোট-বড় সকল প্রকারের জেনারেটরের বর্তমান দাম জেনে নিতে পারবেন বিডিস্টলের ওয়েবসাইট
1 Comment
অনেক ভালো পোষ্ট , ভলো লাগল ানেক