যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে একটা কথা প্রচলিত আছে, পণ্য বা ধারণা চুরি করেছে এমন কথা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান কখনো স্বীকার করেন না। সম্ভবত এটা পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তের জন্যও সত্যি। তবে ইনস্টাগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেভিন সিসট্রম বোধ হয় কিছুটা আলাদা। সরল মনেই সব কৃতিত্ব তিনি স্ন্যাপচ্যাটের কর্তাদের দিয়েছেন।
ঘটনা হলো, ‘ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজ’ নামে নতুন সুবিধা যোগ করা হয়েছে ছবি প্রকাশের অ্যাপ ইনস্টাগ্রামে। ছবি ও ভিডিওর সমন্বয়ে সর্বোচ্চ ১০ সেকেন্ডের স্লাইডভিত্তিক উপস্থাপনা করা যাবে এতে। তবে যা কিছু প্রকাশ বা শেয়ার করা হবে তার স্থায়িত্ব ২৪ ঘণ্টা, এরপর মুছে যাবে। উপস্থাপনা মজার করে তুলতে লেখা ও আঁকার সুবিধাও রয়েছে। অনুসারী তালিকায় কারা ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজ দেখতে পাবেন, তা নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে। তবে ইনস্টাগ্রামে যেভাবে ছবি ও ভিডিও দেখানো হয়, ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজ দেখা যাবে ভিন্ন ভাবে। যাঁরা স্টোরিজ শেয়ার করেন, তাঁদের প্রোফাইল ছবি অ্যাপ চালু করার পর সবার ওপরে দেখাবে।
আরেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ন্যাপচ্যাটে একই ধরনের সুবিধা আগে থেকেই আছে। নামও এক—স্ন্যাপচ্যাট স্টোরিজ। ইনস্টাগ্রাম যে স্ন্যাপচ্যাট থেকে সরাসরি নকল করেছে, তা বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর কেভিন সিসট্রম তো তা স্বীকার করেই নিয়েছেন। তবে স্বীকার করলেই তো আর ‘পাপমোচন’ হয় না। ফেসবুকে তাই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ থেকে শুরু করে ব্যঙ্গ করতেও ছাড়ছেন না অনেকে। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা অবশ্য খুশিমনেই নতুন এই সুবিধা গ্রহণ করছেন, এক অ্যাপেই সব সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন বলে।
স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারকারীদের ‘বাগিয়ে’ নিতে অনেক আগে থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছে ফেসবুক। পোক, স্লিংশট ও ইনস্টাগ্রাম বোল্টের মতো আলাদা অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে এর আগে। ফেসবুকের সেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজ তাই সাফল্যের মুখ দেখবে কি না, তা এখনই বলার সময় হয়নি।
সূত্র: ইনস্টাগ্রাম ব্লগ, টেকক্রাঞ্চ
বার্তাবাংলা ডেস্ক »
