বার্তাবাংলা ডেস্ক :: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে যারা কাজ করে দক্ষতা অর্জন করেন, তাদের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি ও সনদের ব্যবস্থাও করতে হবে।
দেশের বিকাশমান তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবাশিল্পের জন্য তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন নিয়ে ‘বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবাশিল্পের দক্ষতামান নির্ধারণী সংলাপ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) অডিটোরিয়ামে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোবসিনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বিসিসির এলআইসিটি প্রকল্পের ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্ট অ্যাডভাইজার বিক্রম দাসগুপ্ত।
সেমিনারে প্রযুক্তিনির্ভর সেবাশিল্পের দক্ষতা উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগসহ বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন ইন্ডাস্ট্রি স্কিল কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আহমেদুল হক।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আইসিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী এবিএম খোরশেদ আলম। তিনি সরকারের দক্ষতা নীতি, বর্তমান ও ভবিষ্যত কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম।
সংলাপে বক্তারা এ শিল্পের জন্য দেশের জনবল, বিশেষত তরুণদের উপযুক্ত দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতার মান নির্ধারণ এবং প্রদান ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
সেমিনারে দেশের আইসিটি শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যবসায়ী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি, বেসিস, বাক্যসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রণালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এনজিও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।