বয়স হয়তো ৪০ পেরিয়ে। আর তখনই এতদিনের সুস্থ শরীরে বাসা বাঁধল টাইপ-২ ডায়বেটিস। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলে কারো কারো হয়তো আশ্রয় হয় ইনসুলিন আর বেশিমূল্যের ওষুধপত্রে।

তবে সহজ ৫টি অভ্যাস প্রতিদিনের অংশ বানিয়ে নিলে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে এ রোগ। বিস্তারিত জানিয়েছে হেলথলাইনের প্রতিবেদন।
পদক্ষেপ বৃদ্ধি
যদি টাইপ ২ ডায়বেটিসে আক্রান্ত হন তাহলে প্রতিদিন হাঁটাই শুধু যথেষ্ট নয়। আপনি কতটুকু পথ হাঁটছেন, একদিনে গড়ে কত পদক্ষেপ ফেলছেন এসব লক্ষ্য করুন। পদক্ষেপের সংখ্যা বাড়লে রক্তে শর্করার মাত্রাও কমতে শুরু করে।
পদক্ষেপ হিসেবের জন্য মুঠোফোনে কোনো অ্যাপ ব্যবহার করুন। পাশাপাশি কর্মস্থলে যাতায়াত করতে পারুন হেঁটে কিংবা গাড়ি পার্ক করার স্থান আপনার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে রাখুন, যাতে বেশি হাঁটার প্রয়োজন পড়ে।
বিরতি নিয়ে বসা
ধীরে ধীরে একটানা বসে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করুন। কিছুক্ষণ বসে থাকার পর ওঠে দাঁড়ান কিংবা চারপাশে দুয়েক মিনিট হেঁটে আসুন। ২০১৬ প্রকাশিত একটি গবেষণা জানায় বিরতি নিয়ে বসার অভ্যাস রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
ওই গবেষণায় বলা হয়, টাইপ ২ ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে ৩০ মিনিট পরপর বিরতি প্রয়োজন।
খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ
প্রতিদিন হয়তো কম খাওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু একই পরিমাণ মেনে প্রতিদিন খাওয়ার বিষয়ে লক্ষ্য করছেন না। বিশেষত রেস্তোরাঁ বা বুফেতে গেলে অতিরিক্ত খাওয়া হয়েই যায়।
প্রতিদিন একই পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস ধীরে ধীরে কমিয়ে তোলে রক্তে শর্করার পরিমাণ।
ওষুধে নিয়মানুবর্তিতা
অনেক সময় বিরক্তিকর মনে হলেও টাইপ ২ ডায়বেটিস আক্রান্তদের ওষুধের গ্রহণের সময় নিয়ে অবহেলা করার সুযোগ নেই। আবার নিজের মতো ওষুধ কমিয়ে কিংবা বাড়িয়ে খাওয়া যাবে না। পরিবর্তন করার প্রয়োজন মনে হলে অবশ্যই আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পায়ের পাতা লক্ষ্য রাখা
সময়ের সাথে টাইপ ২ ডায়বেটিস আক্রান্ত অনেকের ত্বক, স্নায়ু ও রক্তনালীতে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। সবচেয়ে বিপদজনক হল পায়ের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়া । লক্ষ্য না রাখলে অনেক সময় পা কেটে ফেলার মতো গুরুতর রোগও হতে পারে।
তাই প্রতিদিন পায়ের ওপরের অংশ ও নিচের দিকে পাতায় ফোলা বা লালচে ভাব, কোনো ক্ষত তৈরি হয়েছে কিনা লক্ষ্য করুন।

