বার্তাবাংলা ডেস্ক »

Blood-Gel-1-High-Res-RGB-1800x1800px1বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: প্রতিদিন নানা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সালেহর মতো অসংখ্য দরিদ্র রোগী ভর্তি হয় রাজধানীর সরকারি- বেসরকারি হাসপাতালে। জরুরি প্রয়োজনে তাদের বলা হয় রক্ত জোগাড় করতে। এতে বিপাকে পড়েন বিপদগ্রস্ত মানুষগুলো। আত্মীয়রা পাগলের মতো রক্ত সংগ্রহ করতে ছুটে বেড়ান এখানে সেখানে। কোনো কোনো ব্লাডব্যাংকে রক্ত পাওয়া গেলেও তার জন্য দাবি করা হয় বড় অংকের টাকা। আবার সরকারি হাসপাতালের ব্লাডব্যাংক থেকে নামমাত্র মূল্যে রক্ত মেলে না। নিজ উদ্যোগে রক্তদাতা জোগাড় করা হলেও পাওয়া যায় না সহায়তা। আবার টাকা হলে মেলে সবই। হাসপাতালের বাইরে দালালদের দৌরাত্ম্য। আর ভেতরে ডাক্তার, নার্স আর কর্মচারীদের খেয়ালখুশিতেই চলে সব কিছু।

দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও লাইসেন্সবিহীন অনেকগুলো ব্লাডব্যাংক থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে ১ ব্যাগ রক্ত পাওয়া আর আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া যেন সমান কথা। বিশেষ করে রোগীর যদি কোনো পরিচয় না পাওয়া যায় তাহলে তার জীবন বাঁচাতে জরুরি রক্তের প্রয়োজনে সরকারি ও বেসরকারি কোনো হাসপাতালে নেই বিশেষ কোনো ব্যবস্থা। গুরুতর আহত হয়ে পরিচয়বিহীন কোনো রোগী হাসপাতালে এলে তার সুষ্ঠু চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় রক্ত তো দূরের কথা ওষুধ ও জরুরি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের জোগানও পাওয়া যায় না। পরিকল্পনা, সুষ্ঠু মনিটরিং ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে প্রয়োজনীয় এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ বলে অভিমত দেন চিকিৎসকরা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএস (ট্রেইনি) ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিক্যাল সার্জারি-ফাইনাল পার্ট-এর চিকিৎসক ডা. রাকিবুল হাসান মুরাদ বলেন, দেশে ব্লাডব্যাংক থাকলেও রোগীর জন্য জরুরি অবস্থায় রক্ত পাওয়াটা অনেক দুঃসাধ্য। সাধারণভাবেই রোগীকে রক্ত জোগাড় করতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এরপর বড় কোনো দুর্ঘটনায় কেউ আহত হয়ে হাসপাতালে এলে তার প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করাটাই কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা ওই মুহূর্তে তার নিকট আত্মীয়স্বজন কাউকে পাওয়া যায় না। আর হাসপাতালের কতর্ব্যরতরা শুধুমাত্র নিজেদের দায়িত্বটুকই পালন করেন। এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজেও যদি কোনো পরিচয়বিহীন রোগী আসেন তবে তার জন্য প্রাথমিক সেবার বাইরে আর কিছুই জোটে না।

রক্ত সংগ্রাহক প্রতিষ্ঠান সন্ধানীর কেন্দ্রীয় পরিষদের কার্যকরী উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটু বলেন, হাসপাতালগুলোতে ব্লাড ট্রান্সফিউশন ডিপার্টমেন্টে নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্টাফ সংকট রয়েছে। যদিও রোগীর জীবন বাঁচানো সবচেয়ে জরুরি। তারপরও নানান সীমাবদ্ধতা আছে। এমন পরিচয়বিহীন রোগীর হয়ে কাজ করার লোকবল ও অর্থবল কোনোটাই নেই। এসব ক্ষেত্রে কাজ করে হাসপাতালের মধ্যে কিছু দালাল এবং হাসপাতাল থেকে লিখিত অনুমতি নেয়া একশ্রেণীর লোক। তারা পারিশ্রমিক ছাড়া কোনো কিছুই করেন না। ফলে এ ধরনের রোগীরা অবহেলা আর অনাদরেই পড়ে থাকেন। তিনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন এখনই হাসপাতালগুলোতে ইমার্জেন্সি সার্ভিস স্কোয়াড চালু করা। যাদের কাজ হবে জরুরি চিকিৎসা দেয়া, আত্মীয়স্বজনকে জানানোসহ প্রয়োজনীয় সব কাজ করা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের বেসরকারি ব্লাডব্যাংকগুলোর চারভাগের তিনভাগেরই লাইসেন্স নেই। এরপরও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এসব ব্লাডব্যাংকে নিরাপদ রক্ত বিক্রির নামে প্রতিনিয়তই করা হচ্ছে প্রতারণা। নিরাপদ রক্তের নামে বেশিরভাগ সময় রোগীদের নিতে হয় অনিরাপদ রক্ত।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্লাডব্যাংকের সংখ্যা ৪১টি। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৬টি ও ঢাকার বাইরে আছে ৫টি। বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী অবৈধ ব্লাডব্যাংকের সংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। ঢাকা শহরের বড় বড় হাসপাতালেও নেই ব্লাডব্যাংক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্লাডব্যাংকগুলো হচ্ছে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতাল, শান্তিনগরের কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছা রক্তদান কর্মসূচি, ধানম-ির ল্যাব এইড, গ্রিন ভিউ ক্লিনিক ব্লাডব্যাংক, কিডনি ফাউন্ডেশন, নিউ বাংলাদেশ প্যাথলজি এন্ড ব্লাডব্যাংক, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পশ্চিম ধানম-ির জয়নুল হক শিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল লিমিটেড, লালমাটিয়ার সিটি হাসপাতাল লিমিটেড, স্কয়ার হাসপাতাল, গুলশানের ইউনাইটেড লিমিটেড, আদ-দ্বীন হাসপাতাল, মহাখালীর দ্য ঢাকা ক্লিনিক এন্ড ব্লাডব্যাংক, বাংলাদেশ ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, ঢাকার হুমায়ুন রোডের ফেমাস ব্লাডব্যাংক, ঢাকার ফুলবাড়ীয়ার সেক্রেটারিয়েট রোডের লাইভ সেভ ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন মেডিসিন সেন্টার ও ঢাকা ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, নাজিমউদ্দিন রোডের ন্যাশনাল ব্লাড এন্ড প্যাথলজি সেন্টার, মহাখালীর আমতলীর রোগী কল্যাণ ব্লাডব্যাংক এন্ড ডে কেয়ার সেন্টার, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা সিটি ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, ওরিয়েন্টাল ব্লাড এন্ড প্যাথলজি সেন্টার, শাহবাগের রেটিনা ব্লাডব্যাংক, কলাবাগানের দ্য ডায়াগনস্টিক এন্ড প্যাথলজি সেন্টার, গ্রিন রোডের মেডিকেয়ার ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, শ্যামলীর সেবিকা ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, কলাবাগানের ক্রসম্যাচ ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, সাভার থানা রোডের নিরাময় ব্লাডব্যাংক লিমিটেড, মালিবাগ নিউ সার্কুলার রোডের ক্রসম্যাচ ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার লিমিটেড, আলিফ ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার, রাজধানীর উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার ফাতেমা মেমোরিয়াল ডায়াগনস্টিক মেডিকেল সার্ভিসেস এন্ড ব্লাডব্যাংক এবং যাত্রাবাড়ীর লাইভ ব্লাড এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার।

ঢাকার বাইরে বগুড়ার গোকুলের রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল, সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ব্লাডব্যাংক, নাটোরের দিঘাপাতিয়ার লাস্টার থ্যালাসেমিয়া ব্লাডব্যাংক, মাদ্রাসা মোড়ের নাটোর ব্লাডব্যাংক, কুমিল্লা পুলিশ লাইনের নিউ সেভ লাইভ ব্লাডব্যাংক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, টাঙ্গাইলের ছোট কালিবাড়ী ব্রতী ব্লাডব্যাংক, চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোডের লাইফ সেভ ব্লাডব্যাংক এন্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার।

এতোগুলো ব্লাডব্যাংক থাকলেও দরিদ্রদের জন্য নেই কোনো বিশেষ ব্যবস্থা। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রক্তের ক্রসম্যাচ, স্ক্রিনিং, বিভিন্ন টেস্টের খরচও বিভিন্ন রকম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্লাডব্যাংক থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা।

রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র বিধিমালায় উল্লেখ আছে প্রতিটি ব্লাডব্যাংকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, একজন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও একজন টেকনিশিয়ান থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ অবৈধ ব্লাডব্যাংক পরিচালিত হচ্ছে মালিক, কয়েকজন দালাল, মার্কেটিং ম্যানেজার ও একজন অফিস কর্মচারী দিয়ে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ব্লাডব্যাংক গড়ে উঠেছে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর ছোট ছোট ঘুপচি ঘরে।

বেসরকারি এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে প্রতি বছর ৫ লাখেরও বেশি ব্যাগ রক্তের চাহিদা রয়েছে। এর ৭০ ভাগই সংগৃহীত হয় পেশাদার রক্তদাতাদের থেকে। পেশাদার রক্তদাতাদের মধ্যে মাদকসেবী, যৌনকর্মী এমনকি মারণব্যাধি এইচআইভি জীবাণু বহনকারীও আছেন। শিশু ও বয়স্ক মানুষের কাছ থেকেও কোনো পরীক্ষা ছাড়াই রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রাজধানীর চাঁনখারপুল, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল-সংলগ্ন এলাকা, আজিজ সুপার মার্কেট, পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল-সংলগ্ন স্থানসহ মহাখালীতে রয়েছে অসংখ্য লাইসেন্সবিহীন ব্লাডব্যাংক।

মাদকসেবীরা এক ব্যাগ রক্ত বিক্রি করে মাত্র ৯০ থেকে ১২০ টাকায়। যে দালাল এদের অবৈধ ব্লাডব্যাংকে নিয়ে আসে তারা পায় ৫০ থেকে ৭০ টাকা। ব্লাডব্যাংকের মালিক বিভিন্ন ক্লিনিক-হাসপাতালে প্রতি ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করে ৫শ থেকে ১২শ টাকায়। ক্লিনিক মালিক রোগীদের কাছ থেকে নেয় ১৫শ থেকে ৩ হাজার টাকা।

শুধু ঢাকা নয় সারা দেশে গড়ে ওঠা এসব ব্লাডব্যাংকের রমরমা ব্যবসা এবং এসবের মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বলতার কথা স্বীকার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মোঃ সিফায়েত উল্লাহ বলেন, ব্লাডব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে যখন অভিযোগ আসে, তখনই সেগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাই। তবে সম্প্রতি জনসাধারণের নিরাপদ জীবনের বিষয়টি বিবেচনায় এনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বৈধ ব্লাডব্যাংকের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় বাইরে থাকা ব্লাডব্যাংকগুলো অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে। মহাপরিচালক আরো বলেন, আইন না মানার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের জনবল কম থাকায় এই বিষয়গুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা কিছুটা দুর্বল। তবে মনিটরিং ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে।

রক্ত নেয়ার সময় হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’, সিফিলিস, এইচআইভি, ম্যালেরিয়া জীবাণু পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এছাড়া যেকোনো ধরনের রক্তশূন্যতা ও রক্তক্ষরণ, শিরায় মাদকগ্রহণকারী, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি, যৌনরোগ, চর্মরোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা, যক্ষ্মা, বাতজ্বর, পেপটিক আলসার, ও মৃগীরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিও রক্তদানে অনুপযুক্ত। তিনি জানান, একজন দাতা রক্তদানের পরবর্তী চার মাস রক্ত দিতে পারবেন না। কারণ, রক্তদানের পরবর্তী চার মাসে তার দেহে নতুন রক্ত উৎপাদন হয়। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে কোনো কোনো মাদকসেবী মাসে একাধিকবার রক্ত দেয়। আর এসব রক্তে প্রয়োজনীয় সব উপাদানও থাকে না।

আবার রক্ত নেয়ার সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী হেপাটাইটিস বি ও সি, সিফিলিস, এইচআইভিসহ যে ছয়টি রোগ স্ক্রিনিং করার নির্দেশনা রয়েছে তা সামরিক হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও তেমনভাবে মানা হয় না। বড়জোর ৪-৫টি রোগ স্ক্রিনিং করা হয়। কেননা এসব রোগ স্ক্রিনিং করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা আমাদের দেশের দরিদ্র রোগীর পক্ষে জোগাড় কষ্টসাধ্য। এছাড়া সংগৃহীত রক্ত সঠিক নিয়মে ও সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয় না। তিনি আরো বলেন, শুধু স্ক্রিনিংয়ের বিষয়টি নয়- রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং বিতরণের ক্ষেত্রেও আরো বেশি সচেতন হওয়ার জরুরি। কেননা রক্তের সঙ্গে একজন মানুষের জীবন-মরণ জড়িয়ে আছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ব্লাড ট্রান্সফিউশন সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, রক্তের চাহিদা বাড়ায় পেশাদার রক্তদাতার সংখ্যাও বাড়ছে। একে ব্যবসায়ী মূলধন হিসেবে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তুলেছেন অবৈধ ব্লাডব্যাংক। নিরাপদভাবে রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য রয়েছে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন ২০০২ ও বিধিমালা ২০০৮। এই আইনে লাইসেন্স ছাড়া ব্লাড সেন্টার পরিচালনা, ভুল ব্যবস্থাপত্র প্রদান, অননুমোদিত পদ্ধতিতে রক্ত পরিসঞ্চালন, বিনষ্টযোগ্য উপকরণ বিনষ্ট না করে পুনরায় ব্যবহার করা, অনিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন, অননুমোদিত উপায়ে রক্ত- রক্তের উপাদান ও রক্তজাতসামগ্রী সংগ্রহ উৎপাদন ও বিতরণ, অননুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক রক্ত পরিসঞ্চালন, রক্তদাতার ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার এবং অতিরিক্ত সেবা ফিস আদায় ইত্যাদি বিষয়গুলোকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »