
শহুরে কোলাহল থেকে দূরে পাহাড়ের ঠান্ডা স্নিগ্ধ শান্ত পরিবেশে ক’টা দিন কাটতে কে না-চায়। আর পাহাড় মানেই হল অফবিট ডেস্টিনেশনের হাতছানি।
হোটেলের বদলে একদম পাহাড়ের কোলে, প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে দিন কাটানো ৷ অল্প দিনের ছুটিতে পাহাড় ঘুরতে চাইলেই দার্জিলিং শহরের পাশাপাশি অবস্থিত অফবিট ডেস্টিনেশন রয়েছে যেখানে ভিড় তুলনামূলক কম। আবার সাধ্যের মধ্যে আয়েশ করে থাকা যায়। আপনিও যদি এমন কিছু খুঁজে থাকেন তাহলে যেতে পারেন মোক্তান ৷
কোথায় মোক্তান ?
দার্জিলিংয়ের খুব কাছেই অফবিট পর্যটন অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে চাওয়া যে কোনও ভ্রমণপিপাসুর জন্য একটি আদর্শ জায়গা হল ‘মোক্তান’। প্রায় ৬৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম। এবার সবুজ বনাঞ্চল এবং চা-বাগানে মোড়া এই গ্রামে প্রকৃতির কাছাকাছি শান্ত অবসর যাপনের একদম পারফেক্ট ঠিকানা।
মোক্তান কীভাবে পৌঁছবেন ?
নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন থেকে মোক্তানের দূরত্ব ৭৫ কিমি। গাড়ি ভাড়া আনুমানিক ৩৫০০-৪৫০০ টাকা। সরাসরি না-গিয়ে দার্জিলিং থেকেও অনায়াসে যাওয়া যায়। দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৪ কিমি অফ-রোড ড্রাইভ করে মোক্তানে পৌঁছে যাওয়া যায়।
অ্যাডভেঞ্চার ও বাইক রাইডারদের জন্য ওই পথ দারুণ রোমাঞ্চকর। সেখানে ঘরে বসেই দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। এছাড়া দার্জিলিং খুব কাছে হওয়ায় চাইলেই দার্জিলিং নষ্টালজিক রাস্তায় চলে যাওয়া যখন-তখন।
টাইগার হিলও রয়েছে পাশেই
ঘুম থেকে বিজনবাড়ি যাওয়ার পথে পড়ে ওই গ্রাম। দার্জিলিং থেকে যে কোনও চারচাকা ভাড়া করে সহজে পৌঁছে যাওয়া যায় সেখানে। ভাড়া খুব বেশি হলে ৬০০ টাকা। আশেপাশে দেখার জায়গাও অনেক। চাইলেই ঘুরে আসা যায় দার্জিলিং, টাইগার হিল প্রভৃতি। এছাড়া জাপানিজ টেম্পল, জু, বাতাসিয়া লুপ, হ্যাপি ভ্যালি টি-এস্টেট, বিশ্বম্ভর রক, চংটং, মেরিবং প্রভৃতি চা-বাগান সবই এখান থেকে ঘোরা যায়।
থাকা-খাওয়া খরচা
চাইলে বিজনবাড়িও ঘুরে আসতে পারেন। তবে এখানে এলে হাতে দু-তিন দিন সময় নিয়ে আসাই ভালো। একদিকে সাইটসিন অন্যদিকে, হোম-স্টে’তেই চায়ের কাপ হাতে কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন ভ্রমণকে দেবে এক অন্য মাত্রা। ওই গ্রামে রয়েছে একাধিক হোম-স্টে। ফলে থাকা-খাওয়ার কোনও চিন্তা নেই।
হোমস্টে-তে থাকা ও খাওয়ার খরচ মাথাপিছু প্রতিদিন 1500 টাকা। তাতে সকালের চা, ব্রেকফাস্ট, দুপুরের খাওয়া, টিফিন ও রাতের ডিনার থাকছে। বারবিকিউয়েরও অপসন রয়েছে। তার জন্য অবশ্য অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।