বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি) দেশের সমস্ত এয়ারফিল্ডসহ এয়ার নেভিগেশন সুবিধা তদারকির পাশাপাশি উড়োজাহাজ চলাচল সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসাবে কাজ করে থাকে। সিএএবি ৩টি আন্তর্জাতিক এবং ১২টি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করে, যার মধ্যে ৮টি সম্পূর্ণরূপে কর্মক্ষম এবং বাকিগুলি মূলত বৈদেশিক বিমান অবতরণ, সামরিক, প্রশিক্ষণ এবং ভিভিআইপি পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
সিএএবি বছরের পর বছর কোনও সমন্বিত অ্যাকাউন্টিং, বিলিং, ইনভেন্টরি এবং কর্মচারী ডাটাবেস সিস্টেম ছাড়াই তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। ২০১৬ সালে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি)- বাংলাদেশ, তাদের কার্যপরিচালনা আধুনিকায়ন করার লক্ষে বাংলাদেশের সকল আইটি সংস্থার জন্য একটি দরপত্র প্রকাশ করে যেখানে তারা তাদের কর্মপদ্ধতিকে সহজ ও সুদৃঢ় করার জন্য আইটি সংস্থাগুলোর পন্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগহ প্রকাশ করে।
সিএএবি তাদের প্রায় আড়াই হাজার কর্মচারীর বেতন থেকে শুরু করে তাদের সকল তথ্য সংগ্রহ ও তাদের কার্যপরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির অনুসন্ধান করছিল যা একই সাথে বিমান সম্পর্কিত সকল কার্যক্রম পরিচালনায়ও সহায়তা করবে। সিএএবির সকল চাহিদাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অন্যতম সফটওয়্যার কোম্পানি সাউথটেক লিমিটেড ২০১৬ সালের ২৩ জুন সফলভাবে প্রকল্পটি পেতে সক্ষম হয়।
সাউথটেক দ্বারা পরিচালিত এই প্রকল্পটিতে দেশের আরও তিনটি আইটি সংস্থা সম্মিলিতভাবে কাজ করে। সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি)-এর চাহিদা অনুযায়ী সাউথটেক এমন একটি সফটওয়্যার পদ্ধতি তৈরি করতে সক্ষম হয় যা সিএএবি হেড কোয়ার্টারসহ ২০টি ইউনিটের কার্যপদ্ধতি একই সাথে পরিচালনা করতে সক্ষম।
সিভিল এভিয়েশন অথরিটিকে ডিজিটালাইজেশন করার ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্যে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাউথটেক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মামনুন কাদের বলেন, “এভিয়েশন কার্য পরিচালনায় সিস্টেম অটোমেশনের ব্যাপারে অনেকেই উৎসাহিত এবং অনেকেই মনে করেন জিনিসগুলো আধুনিক হওয়া উচিত। কাজের পদ্ধতি আধুনিকায়নের ব্যাপারে সকলের আগ্রহ আমাদের কাজকে সফলভাবে সম্পূর্ণ করতে আরও বেশি সহায়তা করেছে। সবার সহযোগিতা ছাড়া এত বড় একটি প্রকল্প বাস্তবে সফল হতে পারত না।” ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাউথটেক ভবিষ্যতেও এমন নিরলসভাবে কাজ করে যেতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।