রান্নাঘরে হরেক রকমের টুকিটাকি জিনিসপত্র থাকে। কফিপট, মগ, সিংক, ব্লেন্ডার, কাটার, চামচ, লবণদানি, ঢাকনা ইত্যাদি। কোনোটিই ফেলনা নয়। তবে রান্নাঘর পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সেখানকার সবগুলো বাসন-কোসন, সেগুলো রাখার জায়গা ও সার্বিক পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখার বিকল্প নেই। ব্যস্ত জীবনযাত্রায় সময়ের বড় অভাব। তাই রান্নাঘর পরিষ্কার করার কাজটি দ্রুত করতে পারলে অবশ্যই ভালো হয়।
১) রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন৷ এটাই কিন্তু সুস্থ থাকার প্রথম পাঠ ৷ পরিষ্কার রান্নাঘর শুধুমাত্র অসুখের হাত থেকেই রক্ষা করে না, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রান্নাঘর গোছানো থাকলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়৷ ভালো, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে ৷
২) কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সগুলোকে প্যাক করে লতুলে রাখবেন না ৷ সব সময় হাতের কাছে রাখুন যাতে প্রায়োজন মতো ব্যবহার করতে পারেন ৷ ফুড প্রসেসার প্লাস্টিকে মুড়ে লফ্টে তুলে রাখা বা রাইস কুকার কাগজে মুড়ে খাটের বক্সে রেখে দেওয়া কোনও কাজের কথা কথা নয় ৷ তাই সব কিছু রাখুন নাগালের মধ্যে ৷
৩) ফল ফ্রিজে না রেখে সবসময় টেবিল বা রান্নাঘরে বাইরে কোনও বোওল-এ রাখুন ৷ চোখের সামনে থাকলে খাওয়ার কথা মনে থাকবে৷ কিন্ত্ত একবার ফ্রিজে ঢুকে গেলে হয়তো এমন সময় মনে পড়লো যখন দেখলেন দামি ফলগুলো পচেই গিয়েছে ৷ প্রতিদিন সকালবেলা অন্তত একটা ফল খাওয়ার অভ্যেস রাখুন ৷
৪) খেয়াল রাখবেন বাসন মাজা-ধোওয়ার জায়গা যেন থাকে নাগালের মধ্যেই ৷ কারণ কাজ করার পর পরিষ্কার করতে ঝামেলা পোহাতে হলে সেই কাজের ইচ্ছেটাই চলে যায় ৷ যখনই খাবেন, যতটুকুই খাবেন, পরিষ্কার থালা-বাটি ব্যবহার করুন৷ যে পাত্রে ব্যাটার গুললেন সেটাতেই কোনওরকমে খেয়ে নেবেন না ৷
৫) সার্ভিং বোওলের সাইজ ছোট রাখুন ৷ বিরাট পাত্রে ভাত বা অন্যান্য খাবার রাখবেন না ৷ অল্প অল্প করে রান্নাঘর থেকে নিয়ে ডিনার টেবিলে রাখুন৷ বারবার উঠে খাবার নিতে হলে ইচ্ছে চলে যাবে ৷ এতে অতিরিক্ত খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা মিলবে ৷
৬) বিদেশী মশলা কিনে রান্নাঘর ভরাবেন না ৷ দেশি, স্থানীয় মশলা দিয়ে রান্না করার চেষ্টা করুন৷ নানা ধরনের রান্না এক-আধদিন ঠিক আছে৷ কিন্তু যে ধরনের খাবার খেয়ে আপনি বড় হয়েছেন সেই খাবারই খান ৷ স্থানীয় বাজার থেকেই রোজকার জিনিস কিনুন ৷
৭) ফল যেমন চোখের সামনে রাখবেন, তেমনই চকোলেট, চিপস, কুকি—এগুলো এমন জায়গায় রাখুন যাতে সহজে চোখে না পড়ে ৷ কারণ যা আমাদের চোখে পড়ে আমরা সেগুলোই খাই ৷ তাই কম খেতে চাইলে খাবারের সঙ্গে এই লুকোচুরি করতে হবে ৷
৮) খেয়াল রাখবেন রান্নাঘরে যেন কোনও পোকা বা আরশোলার উপদ্রব না হয় ৷ নিয়মিত রান্নাঘর পরিষ্কার করুন । না হলে শরীর খারাপ হতে বাধ্য ৷ যে কোনও খাবারই সবসময় ঢাকা দিয়ে রাখার চেষ্টা করুন ৷
৯) রান্নাঘরের চিমনি নির্দিষ্ট সময়ে পরিষ্কার করান ৷ নাহলে আসল কাজটাই হবে না ৷ সারা বছরের পরিষ্কারের চুক্তি করিয়ে নিলে কোম্পানি থেকেই আপনাকে রিমাইন্ডার দেবে ৷