ভারতে রেলের কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে ফেসবুক বা টুইটারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা। ভারতের রেলওয়ে বিভাগে যাত্রীদের কাছ থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নানা অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে। এর ভিত্তিতে দ্রুত নেওয়া হচ্ছে কার্যকর ব্যবস্থা।
নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করে এই ব্যবস্থাকে আরও বিস্তৃত করতে যাচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ে। এতে গুগল প্লাস ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরাও অভিযোগ করার সুযোগ পাবেন।
বর্তমানে প্রতিদিন টুইটার থেকে এক হাজার ও ফেসবুক থেকে নেওয়া ২০০ অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে ভারতীয় রেলওয়ে। এর সঙ্গে গুগল প্লাস ও ইনস্টাগ্রাম যোগ করার জন্য একটি নতুন বিশ্লেষণী সফটওয়্যার তৈরি করার কাজে হাত দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর ফলে দ্রুততম সময়ে অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেন, ‘আমরা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় ৩০ মিনিটে কমিয়ে এনেছি। পরবর্তী পদক্ষেপ হবে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের কাজের উন্নতির সঙ্গে যাত্রীদের প্রতিক্রিয়ার সমন্বয় করা।’
রেলওয়ের একজন নির্বাহী পরিচালক রবিনেশ কুমার বলেন, নতুন সফটওয়্যারটি আগামী দুই মাসের মধ্যে কাজ করার উপযোগী হবে। এটি কোন জায়গা থেকে কয়টি অভিযোগ আসছে, তা কী ব্যাপারে এবং কোথায়, তা নিয়ে রেলওয়ে ব্যবস্থাপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্পষ্ট ধারণা দিতে পারবে। এতে অভিযোগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়াও সহজ হবে।
নতুন অ্যানালিটিক সফটওয়্যারটিতে ফেসবুক ও টুইটারে করা অভিযোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন রঙে ভাগ করা হবে। যেমন: কোনো যাত্রী যদি নোংরা টয়লেট নিয়ে অভিযোগ করেন, তবে তা লাল রং থাকবে। যদি কেউ পরিষ্কার প্ল্যাটফর্মের প্রশংসা করে মন্তব্য করেন, তবে তা সবুজ রঙে চিহ্নিত থাকবে। আর মন্তব্য ধূসর রঙে থাকবে, যদি তা নিরপেক্ষ হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন যে মোবাইল অ্যাপটি তৈরি করা হচ্ছে, তাতে প্রায় ১০০ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রবেশাধিকার থাকবে। এঁদের মধ্যে থাকবেন রেলমন্ত্রী, তাঁর দুই ডেপুটি, রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ আরও ছয় সদস্য, ১৬ জন ব্যবস্থাপক (জিএম) এবং রেলওয়ের ৭০ জন বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম)।
অ্যাপটি যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া থেকে অভিযোগগুলো আলাদা করতে পারবে। এরপর একটি রঙিন রেখা অভিযোগটি ওই সময় কী অবস্থায় আছে তা জানাবে। অর্থাৎ, অভিযোগটি পড়া হয়েছে কি না, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, তা জানাবে। ইকোনমিক টাইমস অবলম্বনে
