সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু ছেলেরা নয়, মেয়েরাও নাকি পর্ন দেখায় বেশ পটু। তবে ছেলে বা মেয়ে হোক, পর্ন যদি নেশায় পরিণত হয় তাহলে বহুমাত্রিক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এতে শারীরিক, মানসিক এমনকি আর্থিক প্রভাবও রয়েছে।
তাই পর্নের নেশা থেকে বেরিয়ে আসা জরুরি। এজন্য সঠিক পরিকল্পনা ও মানসিক দৃঢ়তা জরুরি।
পর্নের নেশার ৬ লক্ষণ:
১. সপ্তাহে ১০ ঘণ্টার বেশি পর্ন দেখা।
২. লিঙ্গ উত্থান ও বীর্যপাতের সময় সমস্যা দেখা দেওয়া অথবা স্বাভাবিক যৌন জীবন যাপন ব্যাহত হওয়া।
৩. পর্ন দেখার সময় মেপে সারা দিনের রুটিন তৈরি করা।
৪. বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা অথবা পারিবারিক সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেয়ে পর্ন দেখে বেশি আনন্দ পাওয়া।
৫. ক্লান্তি, বিষন্নতা বা বিরক্তি দূর করতে পর্নকেই একমাত্র বিনোদন হিসেবে বেছে নেওয়া।
৬. পর্ন দেখার জন্য ক্রমাগত নিজেকে দোষারোপ করা।
পর্ন নেশা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় :
১. জীবনযাপন পদ্ধতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন পর্ন না দেখে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গঠনমূলক ও সুন্দর সময় ব্যয় করতে হবে। এতে করে ভালো কিছুর প্রতি ধীরে ধীরে আসক্তি তৈরি হবে।
২. প্রয়োজন ও জরুরি কাজ ছাড়া ইন্টারনেটে বসা থেকে বিরত থাকতে হবে। যাদের পর্ন দেখার প্রবণতা রয়েছে তারা কিন্তু ইন্টারনেটে বসলেই পর্ন সাইটে ঢোকার চেষ্টা করে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে মানসিক মনোবল জরুরি। সেইসঙ্গে ইন্টারনেটে ভালো কাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে হবে। যেমন মজার কোনো মুভি বা নাটক দেখতে পারেন। চাইলে নিজের কর্মক্ষেত্র বা পড়াশোনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ের উপর অনলাইনে ভিডিও চিত্র দেখতে পারেন।
৩. আর একেবারেই যদি পর্ন নেশা থেকে বেরিয়ে না আসতে পারেন তাহলে অনলাইনে বসা ছেড়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে তা একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য হতে পারে। এ সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে হয় নিজের প্রয়োজনীয় এমন কাজ অন্য কারো সহায়তায় করে নিন।
৪. ধর্মীয় কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারেন যেমন নিয়মিত নামাজ পড়তে পারেন। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান টিভিতে দেখতে পারেন। আর বিবাহিত হলে স্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করতে পারেন। অবিবাহিত হলে বন্ধু-বান্ধব বা সহকর্মীদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে পারেন।
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/hrqwaeru/public_html/wp-content/themes/smart-mag/partials/single/featured.php on line 78
মন্তব্য যুক্ত করুন