বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: মূত্রথলিতে পাথর রোগে আজকাল অনেকে আক্রান্ত। মুত্রের রঙ গাঢ় হলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা অধিক বেড়ে যায়। এ ছাড়া ক্ষুদ্র স্বচ্ছ খনিজের কারণেও কিডনিতে পাথর হয়। রোগটি বয়সের ওপর ভিত্তি করে ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একেকভাবে প্রভাব ফেলে। কিডনির পাথরের আকারও একেক রকম হয়। কিডনির প্রধান কাজ হচ্ছে- শরীরের বিষাক্ত পদার্থ নিষ্কাশন করা এবং দূষিত ও অতিরিক্ত পানি রক্ত থেকে বের করে দেওয়া। মূত্রগুলো শরীরের কিডনি থেকে থলিতে গিয়ে পৌঁছায়। অবশেষে মূত্রনালীর মাধ্যমে ক্ষুদ্র খনিজ ও পাথর থেকে তৈরি অদ্রবীভূত বাসায়নিক পদার্থ শরীরে থেকে বের হয়ে যায়। বড় পাথরগুলো বাদে শরীর থেকে ছোট পাথরগুলো খুব সহজেই বের করা যায়। পাথরের সমস্যার কারণে মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে ব্যথা ওঠে এবং অনেক সময় ব্যথার পরিমাণটা অসহনীয় পর্যায়ে চলে যায়। সতর্কতার জন্য আসুন জেনে নিই, যে পাঁচটি উপসর্গ দেখে বুঝতে পারবেন আপনার কিডনিতে পাথর হয়েছে কি না?
কিডনিতে ব্যথা :
যখন কিডনিতে পাথর জমে আটকে যায় তখন প্রচণ্ড পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। দেখা যায়, এ ব্যথা প্রায় সময় কিংবা হঠাৎ হঠাৎ অনুভূত হয়। মানুষের জীবনে এটি সবচাইতে বেশি বেদনাদয়ক। অনেক সময় পিঠে, যৌনাঙ্গে, কুঁচকিতে প্রচুর ব্যথা করে।
পেটে ব্যথা :
প্রায়ই পেটে ব্যথা হয় কিন্তু মাঝেমধ্যে চলে যায় আবার ফিরে আসে। কিডনিতে সমস্যা হলে প্রচুর ঘাম হয় এবং অসুস্থ হয়ে যেতে হয় কারণ আক্রান্ত রোগীকে প্রচুর ব্যথা সইতে হয়। অতঃপর শরীরের অন্যান্য অংশেও ব্যথা হয়।
মূত্রে রক্ত :
মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হওয়াও একটি সাধারণ সমস্যা এবং এর কারণে পেতে প্রচণ্ড ব্যথা দেখা যায়। মূত্রনালীতে পাথরের ঘর্ষণের ফলে মূত্রের বর্ণ লাল অথবা গোলাপি হয়ে যায়। ক্ষত : যাদের কিডনিতে পাথর থাকে তাদের ক্ষেত্রে মূত্রের সময় জ্বালাপোড়া, মূত্রনালীতে ক্ষত এবং জ্বর একটি সাধারণ লক্ষণ।
অতিরিক্ত ব্যথা :
সকালের সময় প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয় কারণ দিনের বেলা বেশি মূত্রত্যাগ করতে হয়।
কিডনিতে পাথর জমার কিছু আগাম পূর্বাভাস
মূত্রত্যাগের সময় জ্বালাপোড়া :
এটি হচ্ছে একদম প্রাথমিক লক্ষণ। এমনকি তল জাতীয় কিছু না পান করলেও মূত্রত্যাগের সময় প্রচুর জ্বালাপোড়া হয়।
বমি ভাব ও বমি হওয়া :
শরীর থেকে যখন বর্জ্যগুলো বের হতে পারে না তখন এমন লক্ষণ দেখা যায়। কিডনি ঠিক মত কাজ করতে না পারলে বমির মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থগুলো বের করে দেয়।
দুর্গন্ধময় ঘাম ও বর্ণহীন মূত্র :
শরীরের থেকে যাওয়া অবশিষ্ট বিষক্রিয়া ও রাসায়নিক পদার্থের কারণে এমনটা হয়। যখন বড়সর মাপের পাথর জমলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বসতে ও ঘুমুতে সমস্যা হয়ে যায়। দাঁড়িয়ে থাকলে তুলনামূলকভাবে তেমন কোনো ব্যথা হয় না। যদি আপনার কিডনিতে কোনো সমস্যা থাকে তাহলে প্রাথমিক অবস্থা থেকেই নিয়মিত চিকিৎসা নেন।