বার্তাবাংলা রিপোর্ট :: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি স্বপ্ন ও সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। এ দুয়ার লাখো তরুণদের প্রযুক্তি নির্ভর ক্যারিয়ার সৃষ্টির সুযোগ করে দিয়েছে। এ দুয়ার সারা পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। এ দুয়ার দিয়েই বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার বার্তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এখন প্রযুক্তিতে নিজেকে ও বাংলাদেশকে চেনাতে প্রয়োজন যথাযথ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ ব্যক্তিকে পরিপূর্ণ করে। প্রয়োজনীয় করে। পরিশীলিত করে। নিজেকে জানতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ আত্মজিজ্ঞাসার দ্বার উন্মোচন করে।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ব্যান্সডক (বাংলাদেশ ন্যাশনাল সায়েন্টেফিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল ডকুমেন্টেশন সেন্টার) ভবনে ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ফেজ-২ (ইনফো সরকার) প্রকল্পের টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বিসিসির (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল) নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে আরও বক্তৃতা করেন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ের ৩০টি সরকারি অফিস এবং জেলা পর্যায়ের ৫৫টি সরকারি অফিস একটি নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি অফিসসমূহের সাথে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম চালু করার লক্ষ্যে ৪২১টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সহ ৮০০টি অফিসে ভিডিও কনফারেনিসং ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। ৪৮৫টি উপজেলার অফিসমূহের রাউটারে অব্যাহতভাবে চালু রাখার লক্ষ্যে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সচিবালয়কে ওয়াইফাইয়ের আওতায় আনাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় যশোরে একটি ডাটা রিকভারি সেন্টার স্থাপন করা হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য ২৫,০০০ ট্যাব প্রদান করা হবে।