বার্তাবাংলা ডেস্ক:: ছেলে মেয়ের পছন্দের বিয়ে না মেনে নেয়ার প্রবণতা শুধুমাত্র বাঙালি বাবামায়েদের একার সম্পত্তি নয়। চীনাদের মধ্যেও এই প্রবণতা রয়েছে। চীনের দুই পরিবারের অসম্মতির কারণেই ৭০ বছর পর জীবনে সায়াহ্নে এসে মিলন হল স্বামী স্ত্রীর।
৭০ বছর আগে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন পান ঝিশান ও ঝাঙ্গ শুইয়ু। এরপরই চীন জাপান যুদ্ধের কারণেই দুজন দুজনের কাছ থেকে ছিটকে পড়েন। যুদ্ধ শেষে প্যানের বাবা জোর করে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দেয়। ফলে এরপর আর কখনোই দেখা হয়নি তাদের।
সম্প্রতি তাদের এক নাতির উদ্যোগে ৭০ বছর পর ৯৪ বছর বয়সে প্যান তার প্রিয়তমা স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায়। দেখা হওয়ার পর স্বামীর প্রতি ঝাঙ্গের প্রথম প্রশ্নই ছিল, ‘কি জন্যে তোমার আসতে এত দেরী হল’। উত্তরে প্যান জানায়, ‘আমি জানি, আমি অনেক দেরী করে ফেলেছি।’ তবে দেরী করে ফিরলেও প্যান কিন্তু পুরো পরিবারই উপহার পেয়েছেন বহু আগে হারিয়ে ফেলা স্ত্রীর কাছ থেকে। সন্তানসহ নাতি-নাতনি সবই রয়েছে সে পরিবারে। যুদ্ধে যাওয়ার সময় তার জানা ছিল না ঝাঙ্গের গর্ভে তখন তার সন্তান বেড়ে উঠছে।
নিজের পছন্দের মানুষকে নিয়ে ঘর করতে না পারার কারণ হিসেবে সে সময়ের চীনের প্রচলিত প্রথাকেই দায়ি করেন প্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা দুজনই এসেছিলাম চীনা প্রথাগত পরিবার থেকে, যেখানে পরিবারের অমতে বিয়ে করাকে পাপ গণ্য করা হত।’ তবে বিচ্ছিন্ন হলেও সবময় স্ত্রীর একটি ছবি তার কাছে থাকত বলে জানান প্যান। তিনি আরো জানান, স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়ার মধ্য দিয়ে জীবনের সব চাওয়াই তার পূর্ণ হয়ে গেছে।