বার্তাবাংলা ডেস্ক:: ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর বিএনপির সদ্য বিদায়ী আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। চিকিৎসার জন্য তিনি নিউইয়র্কে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে কুইন্সের ইস্ট এলমহার্স্টে অবস্থান করছেন। সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করেছে, সাদেক হোসেন খোকার কিডনি সমস্যা ছিল। সেই রোগের চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি সিঙ্গাপুরে। কিন্তু ডাক্তার কিডনির সমস্যা নিরাময় করতে পারেননি। তাঁর কিডনিতে ইনফেকশন দেখা দিয়েছিল। কিডনির সমস্যা দূর করতে তিনি নিউইয়র্কে এসেছেন এবং তিনি গত তিন মাসে কমপক্ষে দুবার ডায়ালাইসিস করিয়েছেন। এটাকে তার নিকটজনেরা ক্যান্সার এবং তিনি কেমোথেরাপি বলে চালিয়ে দিয়েছেন। সাদেক হোসেন খোকা ক্যান্সার আক্রান্ত না হলেও কিডনির সমস্যায় শারীরিকভাবে অসুস্থ। এ মুহূর্তে তিনি কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে জেল খাটতে রাজি নন। এ কারণেই তিনি ঢাকা মহানগর কমিটির দায়িত্ব নিতে চাননি। অথচ একসময় এই কমিটির সভাপতি হতে তিনি রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। পরে কমিটি না হলেও সাদেক হোসেন খোকা আহ্বায়ক মনোনীত হন। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সে অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। অসুস্থাজনিত কারণ দেখিয়ে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরে আসেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও বেশ কয়েকবার ফোনে সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ সময় সাদেক হোসেন খোকা তার শারীরিক অবস্থার বর্ণনা করে এই মুহূর্তে রাজনীতিতে নিজের অংশগ্রহণের অপারগতা তুলে ধরেন। এর পরপরই মীর্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক এবং হাবিব উন নবী সোহেলকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর কমিটি গঠন করা হয়। এ প্রসঙ্গে সাদেক হোসেন খোকা এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি নেত্রীকে বলেছি এই কঠিন (ক্যান্সার) রোগ নিয়ে এত ভারী দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। পদও ধরে রাখতে চাই না। নতুন কমিটিতেও আমার অবস্থান ধরে রাখতে চাই না।’ নতুন কমিটি আন্দোলনে কতটুকু সফল হতে পারবে এ প্রসঙ্গে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ‘এটা আগামী দিনে বোঝা যাবে।’জানা গেছে, সাদেক হোসেন খোকা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে অবস্থান করতে রাজি নন। তবে আগামী মাসের মাঝামাঝি তাঁর দেশে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য একটি সূত্র জানায়, আগামী ৭ আগস্ট নিউ ইয়র্কের চিকিৎসক সাদেক হোসেন খোকাকে রিলিজ করে দিতে পারেন। আপাতত তার চিকিৎসার প্রয়োজন হবে না। এ কারণেই তিনি ১৫ আগস্ট দেশে যেতে পারেন। তবে এ প্রসঙ্গে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, তার ক্যান্সার ওষুধেই নিরাময়যোগ্য। যে কারণে তাকে কোনো প্রকার কেমো নিতে হয়নি। তিনি নিউ ইয়র্কের বিশ্বখ্যাত ক্যান্সার বিশেষায়িত হাসপাতাল মোমেরিয়াল স্লোয়ান কেটারিংয়ের চিকিৎসক জেমস জে. শিহ-এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সুস্থ হলে দেশে আসার কথাও জানান সাদেক হোসেন খোকা। সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সিদ্দিকুর রহমান মান্নাও নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন। মান্নাই তার দেখাশোনা করছেন। তবে সাদেক হোসেন খোকাই অসুস্থ শরীরে কারো সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ পছন্দ করছেন না। তিনি বিএনপি ও কমিউনিটির কোনো অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না।
মন্তব্য যুক্ত করুন