বার্তাবাংলা ডেস্ক::মজার ঘটনা, শিশুর সঙ্গে দাদির বয়সী নারীর বিয়ে। বরের বয়স ৯ আর কনের বয়স ৬২ বছর। সেই দাদির বয়সী বৌকে এক বছর আগেই ঘরে তুলে নেয় স্বামী।
শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি। পাত্র সেনিয়া মাসিলিয়া ৬২ বছরের হেলেন শাবানগুরের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। যদিও হেলেন শাবানগুরের এটি দ্বিতীয় বিয়ে।
কিন্তু এ বিয়েতে স্বামী বা সন্তানদের কারোরই কোনো আপত্তি ছিল না। বিয়েতে তার স্বামী ৬৬ বছরের আলফ্রেড শাবানগু এবং পাঁচ ছেলেমেয়ে সবাই উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি এই অসম বিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রায় একশ’ অতিথির আপ্যায়নের মধ্যদিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাপুমালানগা এলাকায় ।
এ ধরনের অদ্ভূত বিয়েতে অতিথিদের চোখ কপালে ওঠার মত।
স্কুলপড়ুয়া বালক সেনিয়া মাসিলিয়া গত এক বছর আগে অদ্ভূত স্বপ্ন দেখেছিল। স্বপ্নে পরলোকগত তার পূর্বপুরুষ তাকে বিয়ে করার পরামর্শ দেয়।
বিয়ে না করলে তার পরিবারের অনেক ক্ষতি হবে। কিন্তু এতো অল্প বয়সে পাত্রী পাওয়ায় ছিল দুষ্কর। অবশেষে সন্ধান মেলে হেলেনের। এক বছর আগেই তারা বিয়ে করে ফেলে।
এরই মধ্যে তারা আবার দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে। অনুষ্ঠানে পাঁচ সন্তানের জননী হেলেন একটি কেক কাটে। এরপর সাবেক স্বামী আলফ্রেডকে একহাতে জড়িয়ে ধরে নতুন স্বামী সেনিয়াকে চুমু খায়।
শিশু সেনিয়া তার স্ত্রী হেলেনকে বিয়ে বাবদ পাঁচশ ডলার যৌতুক দিয়েছে। তবে তাদের বিয়ে স্থানীয় ঐতিহ্য মেনে হলেও রেজিস্ট্রি হয়নি।
তারা একসঙ্গে থাকবেও না। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর যে যার মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে। বর যাবে স্কুলে। আর হেলেন যাবেন তার সাবেক স্বামীর কাছে।
সেনিয়া বলে, আমি আমার মাকে বিয়ে করার কথা বলেছি। আসলেই আমি বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। হেলেনকে বিয়ে করতে পেরে আমি দারুণ খুশি। কিন্তু আমি আবার স্কুলে ফিরে যাব। বড় হয়ে সমবয়সী একজন মেয়েকে বিয়ে করবো।
এদিকে হেলেনের ছেলেমেয়েদের বয়স ৩৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। মায়ের বিয়ে নিয়ে সন্তানদেরও কোনো আপত্তি ছিল না।
নববধূর সাজে হেলেন বলেন, ছেলেটিকে বিয়ে করতে পেরে আমি খুবই খুশি। বিয়ের ব্যাপারে আমার পরিবারও আমাকে সমর্থন করেছে। পরলোকগত পূর্ব পুরুষদের খুশি করতেই আমরা বিয়ে করেছি এটা তারা বুঝতে পেরেছে।
৬৭ বছরের হেলেনের স্বামী আলফ্রেড বলেন, এ বিয়েতে অামি এবং আমার সন্তানেরা খুশি। লোকজন কী বলল আর না বলল তা নিয়ে কিছু যায় আসে না। ও তো আমার ঘরেই ফিরে আসবে।