ঈদের দিনের মজার খাবার রান্না করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন গৃহিণীরা। নতুন ড্রেসের সঙ্গে মজার মজার খাবার ছাড়া ঈদের আনন্দ যেন কিছুতেই জমে না। তাই আপনাদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজনে থাকছে ঈদের তিনটি মজাদার খাবার রেসিপি। দেখে নিন রেসিপিগুলো :
জর্দা
ঈদে সব মজাদার মিষ্টি আইটেমের মধ্যে থাকতে পারে এই জর্দাটাও।
উপকরণ
চিনিগুঁড়া চাল—এক কেজি
কালিজিরা—এক কাপ
চিনি—এক কাপ
পানি—পরিমাণমতো
কমলা বা আনারসের রস—১/৪ কাপ
এলাচ—কয়েকটা
দারুচিনি—এক টুকরো
তেজপাতা—একটা
লং—কয়েকটা
ঘি—তিন-চার টেবিল চামচ
ফুড কালার—সামান্য এক চিমটি লবণ
মোরব্বা কুচি, বাদাম কুচি, মালাই, সাজানোর জন্য
প্রণালি
১. চাল এক ঘণ্টা ভিজিয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন।
২. একটা চওড়া হাঁড়িতে চাল, পানি, ফুড কালার, আস্ত গরম মসলা, সামান্য এক চিমটি লবণ আর দেড় থেকে দুই টেবিল চামচ ঘি দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন। বাকি ঘি পরে ব্যবহার করবেন।
৩. ১০ মিনিটের মধ্যে পানি প্রায় শুকিয়ে আসবে। এর মধ্যে আর চামচ দিয়ে নাড়ানাড়ি করবেন না, তাতে জর্দা আঠালো হয়ে যাবে। এখন চিনি আর আনারস বা কমলার রস দিয়ে, বাকি ঘি দিয়ে হালকা হাতে একবার নেড়ে দিন। পানি শুকিয়ে গেলে এখন আধা ঘণ্টার মতো দমে রাখুন। অনেক ঝরঝরে হয়ে যাবে এই দমে রাখার ফলে। একটা পাত্রে ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। দু-তিন ঘণ্টা পরে আরো ঝরঝরে হয়ে যাবে। মোরব্বা, মালাই, কাটা বাদাম, ছোট ছোট লালমোহন দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
২। খাসির মাংসের রেজালা
এটি সবারই খুব প্রিয় একটি খাবার। তাই ঈদের খাবারে রাখতে পারেন এই খাবারটিও।
উপকরণ
খাসির মাংস—দুই কেজি
আদা বাটা—দুই টেবিল চামচ
রসুন বাটা—দুই চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা—এক কাপ
হলুদ গুঁড়া—দুই চা চামচ
মরিচের গুঁড়া—দুই চা চামচ
জিরার গুঁড়া—দুই চা চামচ
ধনে গুঁড়া—দুই চা চামচ
পোস্তদানা বাটা—দুই টেবিল চামচ
তেল—এক কাপ
ঘি—দুই টেবিল চামচ
লবণ—স্বাদ অনুযায়ী
কাঁচামরিচ—আট-দশটি
তেজপাতা—দুটি
দারুচিনি—তিন টুকরা
এলাচ—চারটি
পেঁয়াজ কুচি—দুই কাপ
আলু—ছয়টি
কেওড়া জল—এক টেবিল চামচ
প্রণালি
১. খাসির মাংস টুকরো করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে দারুচিনি, এলাচ ও তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন। এবারে মাংস ও লবণ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ভেজে নিন।
২. মাংস ভাজা হলে পোস্তদানা বাটা ও জিরার গুঁড়া বাদে অন্যান্য বাটা মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ঢেকে দিন। ১০-১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে এক কাপ গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন এবং ঢেকে দিন।
৩. এবার আলু ছিলে লম্বালম্বি মাঝখান থেকে কেটে দুই টুকরা করে দিন। পানি শুকিয়ে এলে আরও এক থেকে দেড় কাপ গরম পানি দিয়ে আলু এবং কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে জিরা গুঁড়া ও পোস্তদানা বাটা দিয়ে নেড়ে আবারও ঢেকে দিন। আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে ঢাকনা খুলে প্রয়োজন হলে আরো সামান্য পানি ও কেওড়া দিয়ে হালকা নেড়ে ঢেকে দিন। মাংস মজে তেল অল্প ছাড়লে এক টেবিল চামচ ঘি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দমে রাখুন কিছুক্ষণ। রান্না শেষ, পরিবেশন করুন।
৩। বোরহানি
এবার গরমের সময় ঈদ হচ্ছে। তাই এসব খাবারের সঙ্গে চাই একটি ঠান্ডা পানীয়। তৈরি করুন সবার পছন্দের বোরহানি।
উপকরণ
মিষ্টি দই—দুই কাপ
টক দই—দুই কেজি
কাঁচামরিচ কাটা—দুই চা চামচ
পুদিনা পাতা বাটা—দুই চা চামচ
সরিষা বাটা—দুই চা চামচ
বিট লবণ—দুই চা চামচ
পানি—পরিমাণমতো (পাতলা বা ঘন যেমনটি করতে চাইবেন)
চিনি—দুই টেবিল চামচ
লবণ—দুই চা চামচ
সাদা গোলমরিচের গুঁড়া—দুই চা চামচ
প্রণালি
১. কাঁচামরিচ, পুদিনা পাতা, একসঙ্গে বেটে নিন। বিট লবণ পাটায় গুঁড়া করে করে নিন।
২. উপকরণগুলো একসঙ্গে অল্প পানি দিয়ে গুলে দইয়ের মধ্য দিন। এবার মিষ্টি দই, টক দইসহ সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন।
৩. বরফ কুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।