ঈদুল আজহার জন্যে কোরবানির পশু হিসেবে গরু, ছাগল, উট, দুম্বা- যে যেটাই কিনেন না কেন? পশুর যত্ন নেওয়াটাও জরুরি।
জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ড. এস এম নজরুল ইসলামের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই বলছিলেন।
হাটে কেনা থেকে শুরু করে জবাই করা পর্যন্ত কোরবানির পশুর যত্ন-আত্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন এই প্রাণী বিশেষজ্ঞ।
ড. এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, এবার বাজারে দেশি গরুর সরবরাহ ও চাহিদা বেশি। কোরবানির জন্য দেশি গরুই সব থেকে উপযোগী বলে আমি মনে করি।
হাট থেকে গরু বা কোরবানির পশু কিনে দৌড়ে বাড়িতে নেওয়া উচিৎ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব পশু খামার বা কৃষকের ঘরে আবদ্ধ অবস্থায় থাকে। এতে অল্পে দৌড় দিলে ক্লান্ত হয়ে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে, ঘটতে পারে দুর্ঘটনাও।
নিকটবর্তী হলে ধীরে ধীরে হেঁটে ও দূরে হলে ট্রাকে করে পশু পরিবহন করে নেওয়ার পরামর্শ দেন এই প্রাণী বিশেষজ্ঞ।
নিজেও দেখেশুনে হাট থেকে কোরবানির পশু কিনেছেন জানিয়ে ড. নজরুল বলেন, হাট থেকে পশু কিনে অনেকে জোর করে অধিক খাবার খাওয়াতে চান, যা উচিত নয়।
‘সামনে স্বাভাবিক খাবার দিতে হবে। নতুন জায়গায় এলে স্বভাবতই পশু খাবার খেতে চাইবে না, তাই জোর করার প্রয়োজন নেই। তবে অধিক গরমে পানির সঙ্গে স্যালাইন মিশিয়ে দিতে দিলে ক্লান্তি কেটে যাবে।’
কোরবানির এক দিন আগে পর্যাপ্ত পানি ছাড়া অন্য কোনো খাবার দেওয়া উচিৎ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, বেশি পানি পান করালে চামড়া সহজে তোলা যাবে ও মাংস সতেজ থাকবে।
‘পশু জবাইয়ের পর ভালো করে স্কেলিং (চামড়া, মাংস, হাড় আলাদা) করতে হবে, বিশেষ করে চামড়ার যত্ন নেওয়া প্রয়োজন; কেননা এটা জাতীয় সম্পদ।’
প্রাণী বিশেষজ্ঞ নজরুল বলেন, কোরবানির পর জবাইয়ের স্থানটি ভালোমত পরিষ্কার করতে হবে। সিটি করপোরেশন বা স্থানীয় প্রশাসনের ঠিক করে দেওয়া স্থানে বর্জ্য ফেলতে হবে, যাতে সহজে তুলে নিতে পারে। অন্যথায় দুর্গন্ধ ছড়াবে, পরিবেশ দূষণ হবে।