খান মো. আনোয়ারুস সালাম, টোকিও থেকে :: টোকিওর ইলেক্ট্রো-কমিউনিকেশন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং www.internationalmotherlanguageday.com এর উদ্যোগে ২১শে ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২টা থেকে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান । অনুষ্ঠানে ৪০টি দেশের প্রায় ৪০০ অংশগ্রহণকারী তাদের মাতৃভাষা, নিজ দেশের খাবার ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। টোকিওর বাংলাদেশের সম্মানিত রাষ্ট্রদূত এবং ইলেক্ট্রো-কমিউনিকেশন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট বক্তব্য পেশ করেন । ইউনেস্কোর ডিরেক্টর জেনেরালের বক্তব্যে পরে শোনান জাতিসংঘের তথ্য কর্মকর্তা ইয়াসুক সেনও।
বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রসারের আহ্বায়ক খান মো. আনোয়ারুস সালাম তার বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি ভাষা মানুষের জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, প্রতিটি ভাষায় কিছু না কিছু স্বকীয়তা রয়েছে যা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের এটিই একমাত্র নিদর্শন।
টোকিও ইলেক্ট্রো-কমিউনিকেশন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ছাত্র ও অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দ্যোক্তা খান মোহাম্মদ আনোয়ারুস সালাম জানান, বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ও ঐতিহাসিক পটভূমি তুলে ধরতে এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি সবাইকে নিয়ে উদযাপনই এ আয়োজনের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে টোকিওর ইলেক্ট্রো-কমিউনিকেশন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিরোআকি ওকু জাপানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং জাপানি সাহিত্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতিটি শব্দই গুরুত্বপূর্ণ এবং শব্দ হলো সবচাইতে শক্তিশালী হাতিয়ার।