রাহমান মনি, জাপান থেকে :: ২১শে ফেব্রুয়ারীকে জাপান প্রবাসীরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছে ১৯৫২’র ভাষা শহীদদের। একুশের প্রভাত ফেরিতে প্রবাসীদের সাথে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন সহ জাপানী সুহৃদগন। টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত এবং স্থানীয় তোশিমা সিটির ডেপুটি মেয়রের যৌথ উদ্যেগে ইকেবুকুরো উদ্যানে নির্মিত স্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্প স্তবক অর্পন শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন তারা।
প্রথা অনুসারে দূতাবাস এবং স্থানীয় প্রশাসনের শ্রদ্ধা জানানোর পর ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, রিরোধী দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের শ্রদ্ধা জানানোর পর অন্যান্য রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ব্যাবসায়িক, ধর্মীয়, শিশু সংগঠন, এবং আঞ্চলিক সংগঠন সমুহের পক্ষ থেকে একে একে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্প স্তবক অর্পন করেন শহীদ মিনারে। শ্রদ্ধা জানানো হয় জাইকা এবং বাংলাদেশ লেখক-সাংবাদিক ফোরাম ও বাংলাদেশ থেকে প্রচারিত ‘‘সাপ্তাহিকের” পক্ষ থেকে।
পুষ্প স্তবক অর্পন পর্ব শেষে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং তোশিমা সিটি অফিস থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষায় তাৎপর্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখা হয়। প্রভাত ফেরী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংস্কৃতিকর্মী এবং টোকিও বৈশাখী মেলার সমন্নয়ক তানিয়া ইসলাম মিথুন।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গনের প্রভাত ফেরীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাস্ট্রদুত মাসুদ বিন মোমেন আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন পরে অর্ধনমিত করেন। এরপর ভাষা শহীদদের
বিদেহী আত্মার শান্তি এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সুখ, সমৃদ্ধি ও সংহতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। একই আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত বানী পাঠ ও দিবসটির তাৎপর্যে আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাস ও টোকিও বিদেশী ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে অমর একুশে ফেব্র“য়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গৌরবময় তাৎপর্যের আলোকে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় বিশ্ববিদ্যালয় আগোরা গ্লোবাল হলে।
এছাড়াও জাপানের বিভিন্ন শহরে প্রবাসীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করে। দিবসটির তাৎপর্যের আলোকে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে বিদেশী ছাত্রদের আয়োজনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।