ফারজানা মিথিলা »

রমজান মাসে রোজাদারেরা ইফতারিতে যে ফলটি সবচে বেশি ব্যবহার করেন সেটি খেজুর বা খোরমা। ভিটামিন ‘এ’ ‘সি’ এবং ম্যাঙ্গানিজে পরিপূর্ণ খেজুরে কোনো কোলেস্টোরেল নেই বললেই চলে। এছাড়া আছে ভিটামিন ‘বি’, কার্বোহাইড্রেট, যা আমদের এনার্জি দেয়, ভিটামিন ‘ই’ যা ত্বকের জন্য উপকারি, ভিটামিন ‘কে’ এবং কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফেট এবং পটাসিয়াম। ফলে এটি যেমন চোখ, ত্বক, চুল এবং শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক তেমনি হৃদযন্ত্রের জন্যও ভাল।

খেজুর গ্লুকোজের ঘাটতি মেটায়। শুধু তাই নয়, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর থাকায় এই ফলটি শরীরকে খুব তাড়াতাড়ি তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। শুধু পবিত্র রমজান মাসে রোজাপালনের সময়ই নয়, সারাবছর খাদ্য তালিকায় খেজুর রাখলে বিভিন্ন শারীরিক উপকার হবে।

স্বাদ অনুযায়ী খেজুরকে আরও কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। ‘আমবারা’, এটি মদিনার বিখ্যাত খেজুর। আকারে একেকটি দেড় ইঞ্চি লম্বা, রঙ গাঢ় বেগুনি, স্বাদে একটু কম মিষ্টি। নরম, একটু বেশি লম্বা বাদামি এবং মাঝারি মিষ্টি খেজুরটিকে বলা হয় সাফাওয়ায়ি। ‘মরিয়াম’ বলা হয় এক ধরনের লালাচে বাদামি খেজুরকে আর আকারে কিছুটা ছোট এবং অন্যান্য জাতের খেজুরের থেকে বেশ কিছুটা কম মিষ্টি খেজুরকে বলা হয় ‘সুগায়ী’। এই খেজুরের বাইরের দিকটি বেশ নরম হয়। মিষ্টি কম পছন্দ এবং নরম খেজুর পছন্দ করেন, তারা এ খেজুরটি খেতে পারেন। বাজারে আরও একধরনের খেজুর পাওয়া যায় জেটিকে ‘আজওয়া’ বলা হয়। এগুলির রঙ গাঢ় বেগুনি বা কালচে ধরনের।

খেজুরের এ রকম ফের বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয় গ্লুকোজ, ফ্রুটকোজ এবং সুক্রোজ। এই রাসায়নিক পদার্থগুলির তারতম্যের ফলে নরম, অর্ধ-শুষ্ক এবং শুষ্ক খেজুর তৈরি হয়।

খেজুরকে পাকানোর আবার বেশ কয়েকটি পর্যায় আছে। যখন খেজুর কাঁচা থাকে তখন আরবি ভাষায় একে বলা হয় ‘কিমরি’। এই সময় খেজুরের রঙ থাকে সবুজ। ‘খলাল’ শব্দের অর্থ পুষ্ট খেজুর। খেজুর পাকলে তাকে বলা হয় ‘রুতাব’। এটাই নরম খেজুর। পাকা এবং শুকনো খেজুরকে বলাহয় ‘তমর’।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »