ন্যানদোস দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক চেইন রেস্টুরেন্ট যেটি বাংলাদেশে পরিচালনা করে এমজিএইচ গ্রুপ। রোববার দুপুরে গুলশান ১ নানদোস আউটলেটে অনুষ্ঠিত হয় নানদোস মাস্টার গ্রিলার্স চ্যালেঞ্জ ২০১৬ এর ফাইনাল রাউন্ড।
আন্তর্জাতিক এই প্রতিযোগিতাটি নানদোসের লাইসেন্স থাকা সবগুলো অঞ্চলে হয়ে থাকে। সব দেশের সব নানদোস গ্রীলার্সদের নিয়ে বিশ্বব্যাপী এই বার্ষিক প্রতিযোগিতা বছরের এই সময়টাতে নিয়মিত হয়।
নানদোসের মাস্টার গ্রীলার্স চ্যালেঞ্জ ২০১৬ প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে অনুষ্ঠানে বিচারক উপস্থিত ছিলেন মডেল সুজানা জাফর, লা মেরিডিয়ান ঢাকার এক্সিকিউটিভ শেফ অলিভার লরো, টিভি সেলিব্রেটি সেফ রাহিমা সুলতানা, ঢাকা ফুডিসের প্রতিষ্ঠাতা আশিকুর রহমান রেয়ান, ফুড ব্যাংকের শাওন, ফুড টকের তাসকিন প্রমুখ।
প্রতিযোগিতাটি ছিল সত্যিই অন্যরকম। কেননা, র্দীঘ একমাস নানা ধরনের প্রক্রিয়া এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করে গ্রীলার্সরা। যাতে নানদোসের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে তৈরি হয় অনন্য ও বিখ্যাত পেরি পেরি চিকেন। এই প্রক্রিয়া ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নানদোস এবং অনন্য সম্মানিত বিচারকরা নির্বাচিত করে সেরাদের সেরা গ্রীলার্স। যারা তাদের ব্যতিক্রমী এই গ্রীলিং দক্ষতায় তুলে ধরতে পারবেন বিশ্বব্যাপী।
নানদোসের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর মহিতুল বারি বলেন, ‘আমাদের অতিথিরা বেশ অভিজ্ঞ খাবারের ভিন্ন স্বাদ ও মান মূল্যয়ান করতে। সে জন্য মাস্টার গ্রীলার্স চ্যালেঞ্জের বিচাকর হিসেবে এলোমেলোভাবে মনোনিত করা হয় চারটি রেস্টুরেন্টের প্রত্যেকটি থেকে অতিথি নিয়ে। এছাড়া মাস্টার গ্রীলারসদের মনোনিত করা হয়েছে চূড়ান্তভাবে বিচারকদের মাধ্যমে।’ খাদ্য সমালোচক ও বিচারক হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী, মিডিয়া সেলিব্রেটি, রন্ধন বিশেষজ্ঞসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
প্রতিযোগিতার সময়, নানদোসের চার শাখার সকল গ্রীলাররা সব থেকে সেরা ও খাঁটি পেরি পেরি চিকেন প্রস্তুত করতে রান্না ঘরে মাত্র ১৫ মিনিট সময় কাটান। বিচারক প্যানেল এই প্রতিযোগিতা থেকে সেরা গ্রীলার বাছাই করতে সহযোগিতা করেন।
প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হন নানদোস গুলশান ১ শাখার গ্রিলার জহিরুল ইসলাম।
তিনি বিদেশের মাটিতে কুয়ালামপুর, মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। এবং বিশ্বের সেরা গ্রীলার্স খুজে নেবার যুদ্ধে লড়বেন ‘ওয়ার্ল্ড বেস্ট গ্রীলার’ শিরোপা অর্জনের জন্য। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে এই ভাগ্যবান বিজয়ী পাবে আন্তর্জাতিক সম্মাননা এবং বাকি জীবন লালন করার মতো আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতার সুযোগ।