ঘুমন্ত মানুষের নাক ডাকার সমস্যাটি খুবই পরিচিত। এটি ওই ব্যক্তির জন্য বিব্রতকর এবং পাশের মানুষের জন্য বিরক্তিকর। নাক ডাকার অর্থ, আপনার শ্বাসনালির ওপরের অংশ সরু হয়ে আছে। এই শারীরিক সমস্যার সমাধান আছে। স্বাভাবিক ঘুমের ঘাটতির কারণেও এ সমস্যা হতে পারে। আর এটা হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
নাক ডাকা দূর করতে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল সম্প্রতি কিছু কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে—
১. ওজন কমান: গলা ও ঘাড়ে অতিরিক্ত চর্বি জমলে শ্বাসনালি সরু হয়ে যায়। এ কারণে স্থূলকায় ব্যক্তিদের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা বেশি। ওজন কমাতে পারলেই তাঁদের নাক ডাকা অনেকটা কমে যায়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, বাড়তি ক্যালরি বাদ দিন।
২. ঘুমের ওষুধ বর্জন করুন: কিছু কিছু ওষুধ গলার মাংসপেশিকে শিথিল করে দেয়, যেমন ঘুমের ওষুধ। এগুলোর প্রভাবে নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে। তাই এ ধরনের ওষুধ বর্জন করতে হবে।
৩. নাক খোলা রাখুন: নাক বন্ধ থাকলে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার প্রবণতা বাড়ে। যদি সর্দি বা নাক বন্ধ থাকে, ঘুমের আগে লবণ-পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
৪. ঘুমের ভঙ্গি পাল্টান: চিত হয়ে শয়ন করলে অনেক সময় জিভ পেছনে পড়ে বা শ্বাসনালি আটকে যায়। কাত হয়ে ঘুমালে এ সমস্যা কমে। মাথার দিকটা একটু উঁচু করে নিতে পারেন।
৫. ধূমপান ছাড়ুন: ধূমপানের সঙ্গে নাক ডাকার সম্পর্ক রয়েছে। তাই এই ক্ষতিকর অভ্যাস পুরোপুরি ছাড়তে হবে। অ্যালকোহলও বর্জন করুন। এটি মাংসপেশি শিথিল করে এবং শ্বাসনালি সরু করে।
এসব কৌশল প্রয়োগের পরও নাক ডাকার সমস্যা রয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নাক ডাকা রোধে বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার এবং প্রয়োজনে শল্যচিকিৎসারও সুযোগ রয়েছে।
Warning: Trying to access array offset on value of type bool in /home/hrqwaeru/public_html/wp-content/themes/smart-mag/partials/single/featured.php on line 78
মন্তব্য যুক্ত করুন