বার্তাবাংলা ডেস্ক :: ছবি তুলতে কার না ভালো লাগে। প্রতিনিয়তই সবাই তার নিজেরসহ পরিবেশের বিশেষ মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় ধরে রাখতে ব্যস্ত । আর এই রকম তোলা ছবি নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রদর্শনী চলে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। যা দেখার জন্য বিভিন্ন গ্যালারিতে টাকা খরচ করে ভিড় জমাতে হয় দর্শনার্থীদের। আর এখন থেকে যদি তা দেখা যায় বিনামূল্যে। তবে এজন্য কষ্ট করে গ্যালারিতে যাওয়ার তো দরকার পড়ে না। আর এমনই একটি উদ্যোগ নিয়েছে শেকৃবির একঝাঁক ব্যাতিক্রমধর্মী তরুণ-তরুণী। আর এই ব্যাতিক্রমধর্মী চিত্র প্রদর্শনী চলছে রাজধানীর বুকে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাতিক্রমধর্মী তরুণ আলোকচিত্রিক দলের তোলা ছবিটিই ফ্রেমে গড়ে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে কিছু তরুণ আলোকচিত্রিক দল। দলটি নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি সংগঠন। নাম তার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটি। আর এই সংগঠনটির উদ্যোগে সপ্তাহের প্রতি রোববারে আয়োজন করা হয় সাপ্তাহিক চিত্র প্রর্দশনী । এ কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে রবিবার মানেই ছবিবার।
সংগঠনের আহ্বায়ক আশিক মাহমুদ বাংলামেইলকে বলেন, ‘ফটোশপের যুগে প্রকৃতিক ছবি যেন হারিয়ে যেতে শুরু করেছে। আর আমাদের কাজ হলো মানুষের মধ্যে আলোকচিত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়া। পাশাপাশি ভালো তরুণ আলোকচিত্রিক গড়ে তোলা। যার অংশ হিসেবেই আমরা সপ্তাহের প্রতি রোববারকে “ছবিবার” ঘোষণা করেছি । আমাদের সংগঠনের এরকম বেশ কিছু ব্যাতিক্রমধর্মী চিন্তা ভাবনা থাকলেও অর্থের অভাবে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থ সঙ্কটের মধ্যেও কোরবানীর ইদের পর আমাদের বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হাত দিতে যাচ্ছি যার মধ্যে রয়েছে সেমিনার সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ মূলক কর্মসূচি।’
জানা যায়, সংগঠনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গ্রুপে আপলোড হওয়া সেরা ৭ টি ছবি নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সপ্তাহের প্রতি রোববার ‘রবিবার ছবিবার’ শিরোনামে একদিনের এই প্রর্দশনী করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম পাশের ওয়াইফাই জোনে সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এই প্রদর্শনী চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
সংগঠনের সদস্য মাহফুজা আনোয়ার অর্পি বলেন, ‘আমাদের এই ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করবে। মানুষ আবারো ছবি তুলতে উদ্বুদ্ধ হবে। আর তখনই সংগঠনটি হবে সফল।
প্রদর্শনীতে দর্শকদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মকর্তারা ছাড়াও রয়েছে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা বাইরের অনেক দর্শক।’