বার্তাবাংলা ডেস্ক :: এবার নারীস্থান কিছুসংখ্যক পুরুষের জন্য দরজা খুলে দিতে রাজি হয়েছে। তবে এই ঘোষণা শুনেই যদি আপনি ব্যাগ গোছাতে শুরু করেন, তবে ভুল করবেন। বেশ কিছু শর্ত নারীস্থানের বাসিন্দারা জুড়ে দিয়েছেন। সেগুলো পূরণ করতে পারলেই আপনি প্রবেশাধিকার পাবেন।নারীস্থান
ব্রাজিলের নোইভা ডো করডিইরো শহর নারীস্থান নামে খ্যাত। এখানে কেবল নারীরাই বাস করেন। ছয় শতাধিক নারী আছেন সেখানে। তাদের বেশির ভাগের বয়সই ২০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে।
তারা এবার কিছুসংখ্যক ‘সৎ পাত্র’কে সেখানে বসবাসের সুযোগ দেবেন। তবে শর্ত হলোÑ তাদের নারী শাসন মেনে চলতে হবে। জীবনের প্রতিটি ব্যাপারে নারীদের কথা শুনতে হবে। ব্যতিক্রম করলেই নাগরিকত্ব খতম।
নারীস্থানের বাসিন্দা রোসালি ফারনান্দেজ (৪৯) বলেন, অনেক কাজই পুরুষদের চেয়ে নারীরা ভালো পারে। আমাদের শহর অনেক বেশি সুন্দর, অনেক পরিকল্পিত, অনেক সম্প্রীতিপূর্ণ।
তিনি বলেন, সমস্যা দেখা দিলে, আমরা নারীসুলভভাবে সেগুলোর সমাধান করি। আমরা সক্সঘাত নয়, সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করি। আমরা একে অপরের প্রতিযোগী নই, সহযোগী।
তবে পুুরুষ না থাকায় অনেকেই সমস্যা অনুভব করছেন। সেই অনুভব থেকেই এবার কিছুসংখ্যক তরুণকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তাদের অনেকে ইতোমধ্যেই বিয়ে করেছেন। তবে তাদের স্বামী এবং ১৮ বছরের বেশি বয়সের ছেলেসন্তানদের অবশ্যই বাড়ির বাইরে কাজ করতে হয়। কেবল সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে তারা বাড়িতে থাকার সুযোগ পান।
১৮৯১ সালে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অপরাধে দেশটির এক খ্রিস্টান চার্চ মারিয়াকে শাস্তি দিয়ে এই দ্বীপে নির্বাসিত করেছিল। কলঙ্কিনী সেই মারিয়াই আজকের এই ‘সুন্দরী উপত্যকা’র বংশমাতা।
বংশানুক্রমিকভাবে পাওয়া চার্চের প্রতি তাদের ঘৃণা এতটাই প্রবল যে, তারা কেউই চার্চের নামও শুনতে পারেন না। রোজালি ফার্নান্দেজ (৪৯) বলেন, ‘ঈশ্বর আমাদের হৃদয়ে থাকে। তাই আমরা মনে করি না যে আমাদের চার্চে যাওয়া দরকার। আমাদের সন্তানদের আমরা খ্রিস্টান বানাতে চাই না।