বার্তাবাংলা ডেস্ক :: প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দর্শনার্থী সমাগমের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত ওজনপার্কের পাঁচ দিনের বার্ষিক আনন্দ উৎসব। বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ সার্ভিস ‘বাকডাইস’ আয়োজিত এ আনন্দ উৎসব ১৩ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ১৭ আগস্ট। নানান ধরনের পোশাক-প্রসাধন, ফার্মেসি, হাউজহোল্ড আইটেম, রিয়েলস্টেট থেকে শুরু করে বাচ্চাদের জন্য হাওয়াই বেলুনসহ হরেকরকমের খেলনার স্টলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রবাসী ব্যবসায়ীদের দেশীয় পণ্যের সমাহার ও দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন দেশীয় পণ্যের পসরার স্টলে বেচাকেনাও হয় প্রচুর। পাশাপাশি নাগরদোলা, ঘোড় দৌড়সহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় রাইডস শিশু-কিশোরদের বিনোদনে এনে দেয় আনন্দের জোয়ার। শুধু রকমারি পোশাকই নয়; দেশীয় পিঠা উৎসবের আমেজও পাওয়া যায় পাঁচ দিনের এই আনন্দ উৎসবে। ক্রেতা-দর্শনার্থীরাও ঘুরে ঘুরে খুঁজে নেন তাদের পছন্দের জিনিস। দামও ছিল হাতের নাগালে। বিক্রেতারা বলছেন, লাভের জন্য নয়; কমিউনিটির তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহ যোগাতেই তারা এ ধরনের আয়োজনে অংশ নেন। টানা পাঁচ দিনের এই মেলার সমাপ্তি নামে মনমাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্রয়ের মধ্য দিয়ে ১৭ আগস্ট গভীর রাতে। ১৩ আগস্ট বুধবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাকডাইসের প্রধান ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মিসবা আবদীন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশীসহ ভিন্ন ভিন্ন কালচারের সংমিশ্রণেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আর এখানে বসবাসকারী অভিবাসীদের মেধা ও শ্রমে বিস্তৃত হচ্ছে নিউইয়র্কের অর্থনীতি। একটি সংস্কৃতির সঙ্গে আরেকটি সংস্কৃতির এই ইন্টারঅ্যাকশন বাড়াতেই আমরা মাল্টিকালচারাল মেলার আয়োজন করে থাকি, যা আমাদের কমিউনিটির জন্য বড় ভূমিকা রাখবে বলেই আমার বিশ্বাস।’ এদিকে রবিবারের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন- কমিউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, মূলধারার বিশিষ্ট রাজনীতিক, স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান ও সিটির কাউন্সিলম্যানরা। বাংলাদেশ থেকে আগত জনপ্রিয় শিল্পীদের মন মাতানো গান পরিবেশনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামে ওজনপার্কের পাঁচ দিনব্যাপী বার্ষিক আনন্দ উৎসবের। তবে কণ্ঠশিল্পী মমতাজ ও হৃদয় খান না আসায় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা অনেকেই হতাশার কথা জানান গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভিসা জটিলতায় এ দু’জন শিল্পীর আসা সম্ভব হয়নি।
