বার্তাবাংলা ডেস্ক::অনাগত শিশুরা সুস্থ আছে কি না—জানতে চিকিৎসকদের পরামর্শে পাঁচবার আলট্রাসনোগ্রাম করিয়েছেন মা রুমিনা খাতুন (২৯)। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন তিনি যমজ সন্তানের মা হতে চলেছেন। একসঙ্গে দুটি সন্তান তো আনন্দের খবর! তাই মায়ের মন আনন্দে ভরে ওঠে।
কিন্তু সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে গতকাল শনিবার ভোর ছয়টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মা রুমিনা দুই সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু সন্তানদের দেখে শঙ্কা বেড়েছে মা রুমিনার। কারণ তারা শুধু যমজ নয়, জোড়া লাগা।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ও রুমিনার অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক আব্দুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অস্ত্রোপচার করার সময় মনে হয়েছিল বাচ্চা দুটি পৃথক যমজ হবে। কিন্তু দেখা গেল বাচ্চা দুটি জোড়া লাগা। জোড়া লাগানো বাচ্চা দুটির শরীর আলাদা থাকলেও তাদের বুকের মাঝখান থেকে নাভি পর্যন্ত জোড়া লাগানো। তাদের নাভি একটাই। হৃদযন্ত্র, পাকস্থলী দুটি কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।’ শিশু দুটির সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অস্ত্রোপচার করা দরকার বলে আব্দুস সালাম মনে করেন।
গাংনী উপজেলার বামুন্দীর একটি ক্লিনিকে শিশু দুটিকে রাখা হয়েছে। শিশু দুটিকে দেখতে অনেক লোক ভিড় করছে।
বর্তমানে শিশু দুটির তত্ত্বাবধায়ক ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের চিকিৎসক জেড এম রায়হান কবীর বলেন, মা ও শিশুরা সুস্থ আছেন। তবে, শিশু দুটির ভবিষ্যত্ এখনই বলা যাচ্ছে না।
মা রুমিনা বেগম বলেন, ‘যমজ শিশুর কারণে কখনো ঠিকমতো বসতে পারতাম না । অনেক কষ্টে সময় পার করেছি। এখন শিশু দুটির সুস্থতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’
শিশু দুটির পিতা কাজীপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাহিবুল ইসলাম জানান, বিদেশে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার সামর্থ্য তাঁর নেই। তিনি শিশু দুটির সুস্থতার জন্য সরকারি-বেসরকারি সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।