মো. মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল, বাহরাইন :: বাহরাইনের রাজধানী মানামায় গতকাল বৃহস্পতিবার স্হানীয় সময় প্রায় রাত সাড়ে তিনটায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে একই কক্ষের তিন প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ও অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছে।আহত শ্রমিকের অবস্হা ও আশঙ্কা জনক।নিহতদের মৃতদেহ সালমানীয়া মেডিকেল কমপ্লেক্স হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে ।
বাহরাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভবনের অগ্নি নিরপাত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে ভবনের নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাহরাইন পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।নিহতদের তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে ধোঁয়ায় দম শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে। ।নিহতরা হলেন মোঃ মোশাররফ,পিতা-নাজির আহাম্মদ,গ্রাম-রামপুর,থানা- বুড়িচং,জেলা-কুমিল্লা , মোঃ জালাল হোসেন,পিতা-গফুর মিয়া , গ্রাম-রামপুর, থানা- বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা, মোঃ দুলাল হোসেন, পিতা-সিদ্দিক ,গ্রাম-কাচারিতলা,থানা- বুড়িচং,জেলা-কুমিল্লা।
এ ব্যাপারে বাহরাইনস্হ বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। জানা গেছে, ঘটনার পরই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আলী আকবর ঘটনাস্থলে যান। আগুনের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া লোকজনের খোঁজখবর জানতে স্থানীয় থানা ও মানামা সালমানিয়া মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি।উল্লেখ্য, গত বছরের জানুয়ারিতে মাখারকা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ১৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছিল।
জায়গাটি ছিল শ্রমিকদের জন্য কমিউনিটি ফ্ল্যাট। আগুন ছড়িয়ে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া গত বছর পূর্ব রিফাতে অগ্নিকাণ্ডে ১০ বিদেশি শ্রমিক নিহত হন।বাহরাইনে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে প্রচুর শ্রমিক যান।২০১০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এই সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখের বেশি, যেখানে মোট জনসংখ্যা সাড়ে ১২ লাখের কম। কিন্তু তাদের কাজের পরিবেশ ও থাকার ব্যবস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের। এ নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার বলে আসলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। ১৯৭৬ সালের পর থেকে দুই লাখেরও বেশি বাংলাদেশী কাজ নিয়ে বাহরাইনে গেছেন। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে প্রায় ৩০ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন তারা।