জমজমাট বাংলাদেশ মেলা অনুষ্টিত হল আটলাণ্টিক সিটিতে

কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম বলেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে  এই ধরনের মেলা খুব বেশী গুরুত্ব বহন করে। পিপল এন্ড টেকের সিইও মোঃ আবু হানিফ বলেন আগামী প্রজন্মকে ভবিষ্যত জীবন গঠনে সঠিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তার আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিপল এন্ড টেক কাজ করে যাচেছ।বাংলাদেশী শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা অড জব ছেড়ে ভবিষ্যতে একজিকিউটিভ লেভেলের জব নিবে এটাই তার স্বপ্ন।তিনি বলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব অব আটলাণ্টিক কাউণ্টির এই মেলা আগামী প্রজন্মকে শিকড়ের সন্দ্বান দিতে গুরুত্বপূ্র্ন অবদান রাখবে।ঢাকা হোমসের সিইও বেলায়েত হোসেন বলেন ভবিষ্যতে প্রজন্মের আবাসিক চাহিদা মেটানোর জন্য তার প্রতিষ্ঠান সততার সহিত কাজ করে যাচ্ছে।

মেলা উদযাপনে সার্বিক সহযোগিতা করেন আবদুর রব,আজিজুল ইসলাম ফেরদৌস,মনির হোসেন,বোরহান উদ্দিন,সাব্বির হোসেন ভূইয়াঁ,আজাদ মিঠু, গৌতম নাগ,জিয়াউর রহমান অনু, ওমর ফারুক, কাজী লিটন।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাজী লিটন এবং আবদুর রব।দীর্ঘদিন পর অনুষ্টিত জমজমাট এই অনুষ্টানের  উপস্হাপক ছিলেন খ্যাতিমান উপস্হাপক বুলুবুল তার না্ন্দনিক উপস্হাপনায় পুরো মেলার অনুষ্ঠান ছিল প্রানবন্ত। মেলার মূল আকর্ষন ছিল স্থানীয় সংগীত শিল্পী ছাড়াও সূদুর বাংলাদেশ থেকে আগত জনপ্রিয় শিল্পী ডলি সায়ন্তিনী,  এবং বাউল শিল্পীর সংগীত পরিবেশনা ।ডলি সায়ন্তিনীর গান উপস্থিত দর্শকদেরকে প্রচুর আনন্দ দেয় এবং দর্শকরা নেচে গেয়ে অনুষ্টান উপভোগ করেন।মেলায় আগত খাবার, খেলনা, জুয়েলারী এবং কাপড়ের- ষ্টলে ছিল প্রচণ্ড ভীড়।আবহাওয়া ভাল থাকার কারনে উমুক্ত মাঠে বসে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী মনের আনন্দে অনুষ্টান উপভোগ করেন।

মেলার আরেকটি অন্যতম আর্কষন ছিল মোঃ ইসলাম টফি এবং সোহেল আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতায় কৃতি ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্রেষ্ট প্রদান।শিশু-কিশোরদের সবছেয়ে জনপ্রিয় এই পর্বে প্রায় ৬১ জন ছাত্রছাত্রীকে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।আটলাণ্টিক সিটির মেয়র লরেনজো লেংফোর্ড ছাত্রছাত্রীদেরকে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করেন এবং শিশুকিশোরদের সাথে ফটো সেশনে অংশ গ্রহন করেন।মেলায় আগত সুরভী ফুড, প্যাসিফিক প্রাইড চিকেন এণ্ড পির্জা, খেলনা, জুয়েলারী  এবং  কাপড়ের- ষ্টলে ছিল প্রচণ্ড ভীড়।বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলাণ্টিক কাউণ্টির সভাপতি সেলিম সুলতান এবং সাধারন সম্পাদক শহীদ খান মেলাকে স্বার্থক করার জন্য দলমত নির্বিশেষে যে সকল ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।

মেলাকে সুচারুভাবে সম্পাদনের জন্য  সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকসহ আহবায়ক কমিটির সাথে সম্পৃক্ত সকলের প্রচেষ্ঠা অপরিসীম  ছিল বলে তারা উল্লেখ করেন।এদিকে মেলা উদযাপন কমিটির কর্মকর্তা এবং এগ হারবার টাউনশীপ প্লেনিং কমিটির অন্যতম সদস্য সামছুদ্দীন মাহমুদ রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব অব আটলাণ্টিক কাউণ্টির কর্মকর্তা এবং মেলা উদযাপন কমিটিকে ধন্যবাদ জানান তাদের এই আয়োজনের জন্য।মেলার রেফেল ড্রয়ের প্রথম পুরষ্কার স্পন্সর করেন আটলাণ্টিক  সিটির বাংলাদেশীদের জনপ্রিয় মুখ,আটলাণ্টিক  সিটির বিভিন্ন সামিজিক সংগঠনের প্রথম পুরুষ্কার প্রদানকারী আজিজুল ইসলাম ফেরদৌস।

রেফেল ড্রয়ের প্রথম পুরুষ্কার লাভ করেন আটলাণ্টিক সিটি পিপল এন্ড টেকের অন্যতম শিক্ষার্থী ফেরদৌস মুন্নী। নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলাণ্টিক কাউণ্টির সকল কর্মকাণ্ড প্রবাসীদের কাছে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব অব আটলাণ্টিক সিটির সভাপতি আকবর হোসাইন,সাধারন সম্পাদক মোঃ শাহীন,সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকার মোঃ খান বাবুল,সাপ্তাহিক বাংলাদেশের এম ডি জামান  চ্যানেল আই, এনটিভি প্রবাস সংবাদ, এটিএন বাংলা ইউএস পরিক্রমা, একুশে টিভি, বাংলা পত্রিকা, সাপ্তাহিক ঠিকানা, হলিউড বাংলা, এখনও সময়, আজকাল, বষ্টন বাংলা নিউজ, মুক্তকণ্ঠ, জয়বাংলা,বর্নমালা,খবরসহ বিভিণ্ণ মিডিয়া কতৃপক্ষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।মেলার সবছেয়ে আকর্ষনীয় পর্ব ।‌ রা্যফেল ড্রয়ের পুরষ্কার বিতরনীর মাধ্যমে রাত বারটায় মেলার সমাপ্তি ঘটে।