বার্তাবাংলা ডেস্ক:ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মেদান শহরের একটি কারাগারে দাঙ্গায় কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় প্রায় ২০০ বন্দি পালিয়ে যায়। পানি ও বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে কারাগারের বন্দিদের প্রতিবাদ সহিংসতায় রূপ নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বন্দি পালানোর এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন। নিহতদের দু’জন কারারক্ষী ও তিনজন কয়েদি। বার্তা সংস্থা এপির খবরে জানা যায়, দাঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারাগারের আশপাশে পাঁচশ’ পুলিশ ও তিনশ’ সেনা মোতায়েন করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ মুখপাত্র বয় রাফলি আমর জানান, পালিয়ে যাওয়া ২০০ বন্দির মধ্যে ১৫ জন সম্ভবত সন্ত্রাসী। আমর বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কারাগারে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় কারাবন্দিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা প্রতিবাদ জানায় এবং কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলে।’
দ্য জাকার্তা পোস্টের গতকাল শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ১৫ সন্ত্রাসীর সঙ্গে টনি টোগার নামে ২০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক সন্ত্রাসীর সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০০ সালে সুমাত্রায় চার্চে ধারাবাহিক বোমা হামলা চালানোর অভিযোগে পৃথক এক কারাগারে দণ্ড ভোগ করছেন টনি। কারাগারের ভেতরে আগুন লাগার সুযোগে বন্দিরা পালিয়ে যায়। ওই অগ্নিকাণ্ডে দুই বন্দি ও দুই কারা কর্মকর্তা নিহত হন বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। উত্তর সুমাত্রার রাজধানী মেদান শহরের সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তারা এখনো পালিয়ে যাওয়া কারাবন্দিদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। মেদান কারাগারে দুই হাজার পাঁচশ’ জনেরও বেশি বন্দি রয়েছে। কিন্তু ওই কারাগারের ধারণক্ষমতা এক হাজার ৫৪ জন। এত অতিরিক্ত বন্দিকে ওই কারাগারে রাখায় দেশটির আইনমন্ত্রী দেনি ইন্দ্রায়ানার সমালোচনা করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম
