বার্তাবাংলা ডেস্ক »

BGB20130217060656

সাইফুল ইসলাম:পদ্মার ভাঙনে রাজশাহী সীমান্তে ভূ-খন্ড হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশ। পানির তোড়ে শত শত বাড়ি-ঘর পদ্মাগর্ভে বিলীন হওয়ায়, ক্রমেই পদ্মার সীমানা চলে যাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তের কাছে, রূপ নিচ্ছে যৌথ নদীতে। দেশের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙন ঠেকানো না গেলে ভূ-খন্ড হারানোর পাশাপাশি পদ্মার একক আধিপত্যও হারাতে হবে বাংলাদেশকে।

প্রতিদিন স্থলভাগ ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নদীর আকার। সেই সঙ্গে দুর্ভোগ বাড়ছে রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের খানপুর, তারানগরসহ পদ্মা তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের। গ্রাম ভাঙতে ভাঙতে পদ্মা এই মানুষগুলোকে ঠেকিয়ে দিয়েছে একেবারে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাছে। ভাঙনের মাত্রা তীব্রতর হওয়ায় এই মানুষগুলো জানে না আগামী দিনটি কোথায় তারা নতুন ঘর বাঁধবেন।

অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে গত দুসপ্তাহে এসব এলাকায় নিশ্চিহ্ন হয়েছে দুশ বাড়ি-ঘর আর কয়েকশ একর ফসলি জমি। ভাঙনের মাত্রা এতটাই বাড়ছে যে অর্ধ কিলোমিটার দূরে থাকা নদী গত ১৫ দিনে চলে এসেছে খানপুর বিজিবি ক্যাম্পের মাত্র ৬০ মিটার দূরে।

রাজশাহীর পবাউপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ্জাকুল ইসলাম জানালেন, এভাবে ভাঙনের মাত্রা বাড়তে থাকলে বিজিবি ক্যাম্পটিও হারিয়ে যাবে পদ্মার নদীগর্ভে।

পদ্মার এবারের ভাঙনে কেবল ভূমির ক্ষতিই হবে না, সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কৌশলগত দিক দিয়েও পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ। খানপুর সীমান্তের কাছে এখনো টিকে থাকা ২শ মিটার ভূমি নদীগর্ভে চলে গেলে পদ্মা মিশে যাবে ভারতের সঙ্গে। এর ফলে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এই নদীর ওপর অনেকখানি কর্তৃত্ব ভারত পাবে বলে জানালেন রাজশাহী বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মুহাম্মদ শামসুদ্দিন।

এদিকে, খানপুর সীমান্তে এই ভয়াবহ ভাঙন ঠেকাতে জরুরি কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ ।ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিরাপদ করতে বর্তমানে জরুরি ব্যবস্থার পাশাপাশি শুস্ক মৌসুমে আরো কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানালেন এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »