বার্তাবাংলা ডেস্ক »

lichuবার্তাবাংলা ডেস্ক :: লিচুকে বিবেচনা করা হয় চীন দেশের ফল বলে। চীনারা আবার একে ভালোবাসা ও রোমাঞ্চের ফল হিসেবে মর্যাদা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, লিচু চীনা এলাকায়ই প্রথম ফলের কদর পায় এবং চাষবাস শুরু হয়। চীন দেশের এক বংশের নাম ছিল থাং। এই থাং সাম্রাজ্যের এক রাজা তার সৈন্যবাহিনীকে ৬০০ মাইল দূরে পাঠিয়েছিলেন লিচু সংগ্রহে। এই লিচুর রঙ, গন্ধ, রস ও স্বাদ রাজা উপহার দিতে চেয়েছিলেন তার ভালোবাসার নারীকে। ইতিহাসে লিচুর প্রথম ঘটনা এভাবেই বর্ণিত আছে। তাদের বিশ্বাস, যারা লিচু মুখে পুরবে, তারাই এর প্রেমে পড়বে। আর যারা লিচুর প্রেমে পড়তে রাজি নন, তারাও জেনে নিতে পারেন এর উপকারিতা সম্পর্কে। তখন মুখে না স্বীকার করলেও লিচুর সঙ্গে গোপন প্রেম আপনার হয়ে যেতে পারে—
লিচুতে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রোটিন। প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুর ৬৬ ভাগই হলো ক্যালরি। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। খাদ্য হজমকারী আঁশ, ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে জমা করে।
জাপানের কিয়োরিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, লিচুতে রয়েছে অলিগোনল নামের এক ধরনের উপাদান। একে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ উপাদান রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, ত্বকে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমায়।
লিচু ক্যান্সার থেকে মানবদেহকে দেয় সুরক্ষা। এটি ক্যান্সার তৈরিকারী কোষ ধ্বংস করে। এতে অবস্থিত ফ্ল্যাভনয়িডস বা ভিটামিন ‘পি’ স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। চীনের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে  এরকমই ফল পেয়েছে।
শরীর সুস্থ থাকার জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ‘সি’। লিচুতে এ ভিটামিন রয়েছে প্রচুর; যা ত্বক, হাড় এবং কোষের সজীবতা রক্ষা করে। হূদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন ‘সি’ অব্যর্থ বলেই বিবেচিত।
ভিটামিন ‘বি’-এর মজুতঘর হিসেবে লিচুকে ধরা হয়। থিয়ামিন, নিয়াসিন নামের ভিটামিনগুলো লিচুকে করেছে আরো বেশি কার্যকর। এসব ভিটামিন শরীরের বিপাক ক্ষমতা বাড়ায়।
এতে অবস্থিত পটাসিয়াম এবং খনিজের মতো উপাদান হূদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »