রাহমান মনি, টোকিও (জাপান) :: জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫২তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। দূতাবাসের উদ্যোগে গত ১০মে শুক্রবার সন্ধ্যায় টোকিও-তে বাংলাদেশ দূতাবাস মিলনায়তনে এ জন্ম জয়ন্তী পালন করা হয়।
বিশ্বকবির ১৫২ তম জন্ম জয়ন্তী ও নোবেল প্রাপ্তির শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতীয় দূতাবাস সহ অন্যান্য দেশের কুটনীতিক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা, জাপান-বাংলাদেশ ব্যাবসায়ী নেতৃবৃন্দ, জাপানী সুহৃদ, বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন সমুহের নেতৃবৃন্দ সহ প্রবাসী মিডিয়া কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব শাহনাজ রানুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে একমাত্র আলোচক ছিলেন পঞ্চম প্রবাস প্রজন্ম জাপান সম্মাননা’১৩ প্রাপ্ত, বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন, সাহিত্য কর্ম ছাড়াও তাঁর চিত্রকর্ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি যখন আলোচনা করেন তখন আগত অতিথিবৃন্দ মুগ্ধ হয়ে তার কথাগুলো শুনছিলেন। আলোচনা শেষে শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার জাপান সফরকালীন সময়ে নিজ হাতে আঁকা একটি চিত্রকর্ম বাংলাদেশ দূতাবাসে উপহার হিসেবে হস্তান্তর করেন। চিত্রকর্মটি ধন্যবাদ সহ গ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
সংগীতানুষ্ঠানে অংশনেন বেবী রাণী কর্মকার, মাসুদুর রহমান, শাম্মী আক্তার, তনুশ্রী গোলদার, আফসানা সারোয়ার, রওশন আরা, ফাহমিদা সোমা, আঞ্জুম, দিলমাত, মিতা, রিয়াসাত রঞ্জন, জাপানী শিল্পী কামবে 、বাবু ঢালী, আনান, ওয়াফা, প্রিয়াংকারী, মিশাল, শাহনাজ রানু, মুনশী সুলতানা আজাদ এবং রাষ্ট্রদূতপত্মী ফাহমিদা যাবীন প্রমুখ। এছাড়াও কবিতা আবৃতি করেন জুয়েল আহসান কামরুল, শাহনাজ রানু এবং মইনুল মিল্টন।
সবশেষে রাষ্ট্রদৃত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এরপর থেকে দূতাবাস নিয়মিত ভাবে রবীন্দ্র, নজরুল এবং লালনের জন্ম জয়ন্তী পালন করার চেষ্টা করবে। তিনি সকলের সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করেন।
পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সকলকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করানো হয়।