বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমতে থাকে। বুড়িয়ে যায় ব্রেনও। যে কারণে মরচে ধরে স্মৃতিতে। ছোট ছোট জিনিস মনে রাখতে সমস্যা হয়। এছাড়া নিউরোডিজেনারেটিভ ডিসঅর্ডার তো থাকেই। তবে সঠিক লাইফস্টাইল ও ডায়েটের মাধ্যমে মস্তিষ্কের এই বুড়িয়ে যাওয়া রুখে দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে ৭টি খাবার। আজ তারই তালিকা শেয়ার করা হল এই নিবন্ধে।

ডাল ও বিনস রাখুন ডায়েট
ডাল ও বিনসে ভরে ভরে রয়েছে ফাইবার ও প্রোটিন। মস্তিষ্কের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই দুই পুষ্টি উপাদান। তাই মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে মুগ, মসুর, রাজমা, ছোলা রাখুন ডায়েটে।
বেরি খান ভরে ভরে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি ব়্যাডিকেলের ক্ষতি আটকে দেয়। মস্তিষ্কের কলা-কোষকেও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। ফলে মস্তিষ্কের বয়স বাড়ে ধীর গতিতে। এদিকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বড় উৎস হল বেরি। ব্লুেবরি, স্ট্রবেরিতে ভরে ভরে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস। এই উপাদান স্মৃতির ধার বাড়াতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী।
মাছ থাকুক পাতের কোণে
মস্তিষ্কের জন্য এক অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এর জন্য পাতে রাখুন স্যামন, ম্যাকেরেলের মতো ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ। তাতেই মস্তিষ্ক থাকবে তরতাজা।
সবুজ শাক-সবজির উপরে ভরসা রাখুন
নানা গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের সন্ধান মেলে সবুজ শাক-সবজিতে। তাই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে সেগুলোও খেতে হবে রোজ। এক্ষেত্রে পালং শাক, কেল ও ব্রকোলিকে এগিয়ে রাখতে পারেন। এ সব শাক-সবজিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষকে সুরক্ষা প্রদান করে।
পানীয়ের মধ্যে এটিই সেরা
গ্রিন টি-তে ভরে ভরে রয়েছে পলিফেনল। এর কারণেই মস্তিষ্কের জন্য সেরা পানীয় হল গ্রিন টি। তাই দিনে একবার এই পানীয়ে চুমুক দিলে প্রদাহ কমে এবং মস্তিষ্কের বয়সও বাড়ে স্বাস্থ্যকর ভাবে।
গোটা শস্যদানা ডায়েটে থাকা মাস্ট
ওটস, ব্রাউন রাইস ও কুইনোয়ার মতো গোটা শস্যদানা ডায়েটে রাখুন। তাতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সঙ্গে এনার্জি বাড়বে ধীরে ধীরে। ফলে ফোকাস বাড়বে।
বাদাম ও বীজকে কি ভোলা যায়?
মস্তিষ্কের পরম বন্ধু হল বাদাম ও বীজ। এর জন্য ডায়েটে রাখুন আখরোট, আমন্ড ও তিসি বীজ। এ সব খাবারে রয়েছে হেলদি ফ্যাট ও ভিটামিন ই। ব্রেনকে সুরক্ষা দিতে তুলনা নেই এগুলির।