
যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে অধ্যয়নের জন্য স্কলারশিপ দিচ্ছে। কমনওয়েলথ স্কলারশিপের আওতায় নির্বাচিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। বাংলাদেশসহ কমনওয়েলথভুক্ত সব দেশের নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২৫।
যুক্তরাজ্য সরকারের কমনওয়েলথ স্কলারশিপ বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক স্কলারশিপগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর শুরু হয় ১৯৫৯ সালে (পূর্বে DFID, বর্তমানে অর্থায়ন করে UK Foreign, Commonwealth & Development Office–FCDO)।
যুক্তরাজ্যে প্রায় ১৩০টির মতো নিবন্ধিত উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বহুল পঠিত লাইব্রেরি, ব্রিটিশ লাইব্রেরি। যেখানে রয়েছে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন বই। প্রায় প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়েই যুগান্তকারী আবিষ্কারক রয়েছেন, যারা পেনিসিলিন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ডিএনএর মতো অসাধারণ সব প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন। যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ দেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পড়তে আসেন।
সুযোগ-সুবিধা—
- সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করা হবে।
- যুক্তরাজ্য যাতায়াতের বিমানের টিকিট।
- আবাসন সুবিধা প্রদান করবে। মাসে £১,৪৫২ ভাতা, আর লন্ডন মেট্রোপলিটন এলাকায় থাকলে £১,৭৮১;
- শিক্ষা সফরের ভাতা।
- জামাকাপড় কেনার জন্য ভাতা।
- পরিবার ভাতা: যদি শিক্ষার্থীর স্বামী/স্ত্রী ও ১৬ বছরের কম বয়সী সন্তান থাকে, তবে নির্দিষ্ট হারে অতিরিক্ত ভাতা দেয়া হবে (হার বছরে পরিবর্তন হতে পারে, তাই অফিশিয়াল গাইডলাইন দেখতে হবে)।
- প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা।
আবেদনের যোগ্যতা—
- কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নাগরিক হতে হবে।
- স্নাতকে অন্তত উচ্চ দ্বিতীয় শ্রেণি (Upper Second Class, 2:1) থাকতে হবে অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্সসহ লোয়ার সেকেন্ড-ক্লাস ডিগ্রি থাকতে হবে।
- সেপ্টেম্বর ২০২৬–এ স্নাতকোত্তর/পিএইচডির শিক্ষাবর্ষ শুরুর জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
- আবেদনকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির শর্ত পূরণ করতে হবে।
- আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়, তবে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন, তার ইংরেজি ভাষাদক্ষতার শর্ত পূরণ করতে হবে।
- ২০২৫ সালের মধ্যে অনার্স বা মাস্টার্স সম্পন্ন করতে হবে।
- আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে যে এ স্কলারশিপ ছাড়া যুক্তরাজ্যে পড়ার সামর্থ্য নেই।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি—
- অফিসিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট।
- রেফারেন্স লেটার (কমপক্ষে দুইজনের)।
- মোটিভেশন লেটার/গবেষণা প্রস্তাবনা।
- সম্ভাব্য যুক্তরাজ্যের সুপারভাইজারের সমর্থনপত্র (PhD-র ক্ষেত্রে)।
আবেদন প্রক্রিয়া—
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। স্নাতকোত্তরে আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। পিএইচডিতে আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

