
গত মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। একে অপরের দিকে ড্রোন এবং গুলি ছুড়ছে ভারত-পাকিস্তান।
এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের হামলার শঙ্কায় সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা জারির পর রাজধানী নয়াদিল্লিতেও উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত।
জানা গেছে, ভারতের হিমাচল, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, গুজরাট ও রাজস্থানের ২৪টি বিমানবন্দর বেসামরিক চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সকল বিমান সংস্থা ও বিমানবন্দরকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে দেয়া হয়েছে নির্দেশনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের ক্রমশ এই উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে ভারতের দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা জারির পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
একইসঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দিল্লির ঐতিহাসিক যুদ্ধ স্মারক ইন্ডিয়া গেট থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে পর্যটকদের।
সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা চরমে পৌঁছানোর কারণে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতের আখনুর অঞ্চলের শত শত বাসিন্দাকে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। যার মধ্যে ছিল জম্মুর সটওয়ারি বিমানঘাঁটিও। পাকিস্তানের নিক্ষেপ করা অন্তত আটটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের দাবি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
তবে, জম্মু কাশ্মীরে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। উল্টো তিনি অভিযোগ করেন, ভারত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সুযোগ দিচ্ছে না।
এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে বেড়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা। দুই দেশের নেতাদের ফোন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
দুই দেশের মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে আসতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে হামলা বন্ধ করে সংলাপ ও কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।