পোশাকের সঙ্গে যদি জুতার রুচি ফুটিয়ে তোলা না যায় তাহলে বাহারি রঙের মনকাড়া ডিজাইনের মূল্যবান পোশাকটিও হয়ে পড়ে মূল্যহীন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে আকর্ষণীয় করে তুলতে জুতার রয়েছে বাহারি কারিশমা।
ঈদে নতুন পোশাকের পাশাপাশি নতুন জুতা না হলে ঈদ উল্লাসের রঙটাই ফিকে হয়ে যায়। যার কারণে পোশাকের পরই ফ্যাশনপ্রিয়দের কাছে জুতার রয়েছে ব্যাপক কদর। কোন ড্রেসের সঙ্গে কোন ডিজাইনের জুতা পরতে হবে এ নিয়ে ফ্যাশনপ্রিয়রা অহর্নিশ ব্যস্ত। আর ফ্যাশনপ্রিয়দের চাহিদা পূরণে এগিয়ে এসেছে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের জুতার মার্কেটগুলো।
এই এলাকা জুতার জন্য প্রসিদ্ধ বলে রাজধানীর ফ্যাশন প্রিয়রাতো বটেই রাজধানীর বাইরে থেকেও জুতার জন্য এলিফ্যান্ট রোডের দোকানগুলোতে ছুটে আসছেন ফ্যাশনপ্রিয়রা। পুরুষ ও নারীদের পাশাপাশি এই এলাকার দোকানগুলোতে রয়েছে মনকাড়া সব কিডস কালেকশন। পুরুষদের সু, স্যান্ডেল, স্লিপার, স্পোর্টস সু, সাইকেল সু, ফিতাওয়ালা চটি, স্লাইস, টমস, বেঞ্চ, কাবলী স্যান্ডেল, চায়নিজ সুপ্রা, ক্যাজুয়াল সু, ফরমাল সু ও কেডস এর পাশাপাশি মহিলাদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় ডিজাইনের হাই হিল, সেমি হিল, ফ্লাট স্যান্ডেলসহ বিভিন্ন ধরনের জুতা। বিশেষ ধরনের ড্রেসের মতো বিশেষ নামের ও ধরনের জুতারও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবারের ঈদে। এর মধ্যে ‘লোফার’ নামের জুতাটি এবারের ঈদে জুতানুরাগীদের ব্যাপক সমাদর অর্জন করেছে বলে জানান এই এলাকার পাদুকা ব্যবসায়ীরা।
ঈদ ঘনিয়ে আসলেও বিকিকিনি এখনও সেভাবে জমে উঠেনি বলে জানান ‘সাম্পান’ এর প্রোপ্রাইটর রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘অন্য বছর এই সময়ে কাস্টমারদের প্রচুর ভিড় থাকলেও এখনও কাস্টমারদের খুব একটা আনাগোনা নেই। বিকিকিনি কম বলে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ধরনের অফার চালু করেছে ‘সাম্পান’। যার মধ্যে ২ হাজার টাকার জুতা কিনলে ১০% ক্যাশ ব্যাক ও সাড়ে ৩ হাজার টাকার জুতা কিনলে ১৫% ক্যাশ ব্যাক দিচ্ছে তারা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে জাপানেও তাদের জুতা রপ্তানী করা হয়ে থাকে বলে জানালেন তিনি। ফিতাওয়ালা চটি, বাচ্চাদের নাগরা,লেডিসদের ফ্লাট জুতা, ডিজেল সু, সেমি হিল, পেন্সিল হিল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ফ্যাশনেবল জুতার সমাহার রয়েছে ‘সাম্পান’ এ।
অন্যদিকে ‘শাইনি’ নিয়ে এসেছে নিজস্ব সব ব্র্যান্ড। বাচ্চাদের পাশাপাশি নারীদের বিভিন্ন ধরনের কালেকশনও রয়েছে এই দোকানটিতে। শাইনি’র এই আউটলেটে নারীদের জন্য রয়েছে স্টোন ও কারচুপির ডিজাইনের নতুন সব কালেকশন। এখানে নারীদের বিভিন্ন ধরনের জুতা পাওয়া যাচ্ছে ৭৯০ থেকে ১৯৯০ টাকায়। এই দোকানের ম্যানেজার সরওয়ার হোসেন জানান তাদের প্রোডাক্ট নিজস্ব হলেও সোল্ড আনা হচ্ছে চায়নার। ৮৯০ থেকে ২৭৯০ টাকায় পুরুষের সব ধরনের জুতা পাওয়া যাচ্ছে শাইনি’র এই আউটলেটে।
‘লোটো’র এলিফ্যান্ট রোডের আউটলেটে ক্যাজুয়াল সু পাওয়ার যাচ্ছে ১ হাজার ৪৯০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায়, লাইফ স্টাইল পাওয়া যাচ্ছে ২৯০ থেকে ৮৯০ টাকায়, কেডস পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ২৯০ থেকে ২ হাজার ৪৯০ টাকায়, স্লিপার রয়েছে ৫৯০ থেকে ১ হাজার ৮৯০ টাকার মধ্যে, স্পোর্টস স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে ৯৯০ থেকে ২ হাজার ৪৯০ টাকার মধ্যে বলে জানান হেলাল।
তাদের দোকানের বিক্রি আশাব্যঞ্জক বলে জানালেন এই দোকানটির বিক্রয়কর্মী সোহেল। মিস সু নামের একটি দোকানে বাচ্চাদের জুতার রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সমাহার। এখানে বাচ্চাদের জুতা পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ৫০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ৮৫০ টাকায়, নারীদের জুতা পাওয়া যাচ্ছে ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়। ফ্যালকন সু’র আউটলেটে স্পোর্টস স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার টাকায়, কাবলী স্যান্ডেল ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, চটি স্যান্ডেল ১ হাজার ৬৫০ টাকায়, স্যান্ডেল সু ১ হাজার ৬৫০ টাকায়, স্যান্ডেল ১ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে।
